হে রমনী,
তোমাকে খুঁজেছি লোকচোখের অন্তরালে
যেথায় থাকো তুমি, লুকিয়ে মায়াজালে।
বহুবার, বহুক্ষণ তোমারই অনুসন্ধানে
নিমোজ্জিত রয়েছি ভালবাসার বন্ধনে।


হে রমনী,
তুমি দিয়েছো পাড়ি দিনান্তের দিগন্ত-পানে
গোধূলি লগ্নে তোমারই প্রস্থান বিরহ-গানে।
তোমাকে চাই, যদিও তুমি হও কুলষিত
তুমি আপন করে নিলে হবো যে পুলকিত।


হে রমনী,
তোমার মনের গহীনে যদি মোরে না করো গ্রহণ
মনে কিছু নিব না, তবুও তুমি মোর কত যে আপন।
চাই না আমি তোমার স্পর্শ, চাই শুধু ভালবাসা
আমাকে রাঙিয়ে দাও, তুমি যে আমার মনের ভাষা।


হে রমনী,
যদি পারো তুমি আপন করে নাও মোরে
তুমি তো আছো মোর মনেরও গভীরে।
চাই না তোমার অবহেলা, চাই যে বুকে
তুমিহীনা আমি একাকী কাটছে শোকে।


হে রমনী,
ভালবাসার শেষপ্রান্তে আমি যে হেরেছি
হেরে গিয়েও তোমাকে অনুভব করেছি।
তুমি যে মোর বুকে এক পলক সুখ
তোমাকে চাই বারবার, আনমনা বুক।


হে রমনী,
তোমাকে দিতে চাই সহধর্মিণীর অধিকার
তোমাকে চাই আমি কোটি কোটি বার।
যদি পাই তোমাকে আমি এ সংসারে
মনে হয় স্বর্গ পাবো গো জীবন মাজারে।


হে রমনী,
মোর আকুল নিবেদন তোমার মনের প্রতি
গ্রহণ করো মোরে, এ ভুবনে গড়ো সম্প্রীতি।
প্রেম-প্রীতি-ভালবাসায় সাজাও মোদের ভুবন
জাত-অভিজাত, বর্ণ ভুলে করো মোরে আপন।


ইতি-
তোমার প্রেমহীন কবি,
উৎসর্গ তব তোমার প্রতি।


******************************


রচনাকালঃ  ৩/০৯/২০২১ ইং
উৎসর্গঃ প্রিয়তমেষু।
বিষয়ঃ ভালবাসার উপলব্ধি।
মুহূর্তঃ হঠাৎ শুনা কাব্যে আমি অভিভূত।
স্থানঃ বাড্ডা, ঢাকা ১২১২।