প্রিয় অপরাজিতা,


হিমালয়ের মতোই, কৈলাস সরোবরের মতোই,
বয়ে চলেছি নিয়ে এক নিদারুণ কষ্টের পাহাড়,
তুমিহীনা আমি, শূণ্যতার খেলাঘরে আমি একা।
তুমি কি জানো? আজো আমি সেই হিজল বনে,
পাখির ভীড়ে খোঁজি তোমায় গোপনে গোপনে।


অস্তিত্বহীন তোমার স্মৃতিগুলো আনমনা করে তুলে
তবুও আমি তোমারই আশায় নিমগ্ন থাকি বিভোর,
তোমার পায়ের আওয়াজ শুনতে পাই যেন,
যেন নুপুরের গুঞ্জনে মুখরিত হয় তেপ্রান্তর।


জানো অপরাজিতা, তুমিহীনা আমি মরা নদীর মতন
যৌবন ছাড়া কুলষিত, আর প্রেমিক হয়েও প্রিয়াহীন
তোমার মনের অনন্ত গভীরে মোর অশান্ত বিচরণ
তোমার শরীরের ঘ্রাণে মাতাল আমার অশান্ত মন।


এলোমেলো কেশে হাওয়ায় উড়া শাড়ির আঁচল
লেপটে থাকি দুজনে একই বসনে মোরা অনন্তকাল।
চলে যাওয়ার লাগি, আসি নি ভুবনে, তুমিহীনা আমি
তোমায় ডাকি শেষ বেলার প্রাতে, এক আকর্ষণে।


আসো দুজনে একীভূত হই আকণ্ঠ মাতাল যৌবনে
তুমিহীনা আমি বাঁচতে চাই না, তবুও এ ধরণীতে
নিমোজ্জিত সকল অভিপ্রায়, অনিকেত সংসারের
সমস্তই বিনাশ করি একটু পরম সুখের আশায়।


হে অপরাজিতা, হে মায়াবিনী, হে রমনী
ডাকি যে তোমায়, শুন নি তুমি, অকাল বৈশাখী
ঝড়ের মতো, তোমারই প্রস্থাণের কথা ভাবি,
অনন্তকাল শুধুই তোমাকেই চাই ওহে স্বপ্নচারিনী।


ইতি-
সেই হিজল বনে অপেক্ষারত,
চোখে এক স্বপ্ন জাগ্রত, আকুল হিয়ার কাতরতা,
তোমার আশায় পথ চেয়ে বসে থাকা,
এক ছন্দহীন কবি।
আর প্রাণে তোমার স্মৃতি বহমান।
আমি সেই আনিছুর রহমান।


******************************


রচনাকালঃ ২৩/০৮/২০২১ ইং