রক্তে ভেজা শিশুর মুখে আজ নেই কোনো গান,  
পাখির মতো ডানা মেলে উড়ে যায় প্রাণ।  
খেলনার বদলে হাতে এখন পাথরের ঢিল,  
চোখে আগুন নয়-আছে কেবল নিঃশব্দ ক্ষোভের কিল।

বুলেট বৃষ্টির নিচে পড়ে আছে মায়ের কোলে লাশ,  
সন্তান ছুঁয়ে বোঝে সে আজ কতটা নিরাশ।  
ঘর ছিল একদিন, ছিল রান্নার গন্ধে মাখা সুখ,  
আজ সে ঘরে বোমা পড়ে, জ্বলে উঠেছে দুখ।

দেয়ালের ফাঁকে লুকিয়ে থাকে নিষ্পাপ এক মুখ,  
যার হাসিতে হতো সকাল, আজ বিষাদের শোক।  
বাবা ফেরে না কাজে গিয়ে, সারাদেহ ভেসে গেছে রক্তে,  
ফিরে আসে শুধু খবর, বাবার লাশটি মাটির পকেটে।

আরববিশ্ব এখন সভা ডাকে, বলে “খুবই দুঃখজনক”,  
কিন্তু রক্ত চুষে খায় সেও,  হতে পারেনি জাতির রক্ষক।  
ধর্মের নামে খুন করে, মুখে নীতি, চোখে জল,  
আসল সত্য-মানবতার গলা টিপে ধরে তাদের দল।

একটি মেয়ে চিৎকার করে-“আমার ভাইটিকে ফিরিয়ে দাও”,  
তার কণ্ঠে কাঁপে সভ্যতা-তবুও দেয় না কেউ কোন সাড়াও।  
আমরা শুধু অবাক চোখে! চেয়ে দেখি প্রতিদিন হাহাকার,  
বুকের মাঝে গর্জন ওঠে, আল্লাহ করবে একদিন সুবিচার।

আমি দূরে, তবুও দেখি রক্তগঙ্গা বয়ে যায়,  
স্বজাতির এই আর্তনাদে হৃদয় কাঁদে, ঘুম না পায়।  
আমি যদি কবি হয়ে পারতাম বুলেট থামাতে,  
কলম নয়, হৃদয় দিতাম বিছিয়ে ফিলিস্তিনিদের বাঁচাতে।