আকাশের মন খারাপ,
সে খুব করে কাদল,
আকাশের কান্না দেখে
কোন এক জুগল জানালার ধারে বসে
খুব করে ভালবাসার গল্প জুড়ল,
আকাশের কান্না দেখে
কোন এক গৃহীনি মনের সুখে
ভূনাখিচুড়ি আর সরষে ইলিশ রাধল,
আকাশের কান্না দেখে
গায়ের বধূরা তাদের সব কলসি গুলোতে
কান্নার জল ভরে নিল,
আকাশের কান্না দেখে
কোন এক কৃষক তার ফসলের শুকনো
জমিটার কথা ভেবে মনে আনন্দ পেলো,
আকাশের কান্না দেখে
যুবক গুলো পাড়ার চায়ের দোকানে ঢুকে
গরম চায়ের কাপ হাতে আড্ডাতে মাতলো,
আকাশের কান্না দেখে
কতগুলো যুবতি বাসার ছাদে গিয়ে
নেচে-গেয়ে খুব করে ভিজল,
আকাশের কান্না দেখে
কোন এক কবি; কোন এক শিল্পী; কোন এক লেখক
তার মনের কল্পনার ডালি খুলে দিয়ে
খুব করে ভাবল,        
আকাশের কান্না দেখে
বুড়ো-বুড়ী কাথা গায়ে জড়িয়ে
বিছানায় শুয়ে পুরনো দিনের স্মৃতিতে ডুব দিলো,
এই-যে আকাশ এত সাধ করে কাদল
কেউকি একটু ভাবল
যে আকাশ কেন কাদল?
কেউকি একটু ভাবল
যে আকাশ যদি কেদেই যেত
সেই কান্না যদি কখনো আর না থামতো,


আকাশের খুব জড় হলো,
শরবতের দোকানে খুব ভীড় হলো,
ফ্রীজের ঠান্ডা জলের খুব চাহিদা হলো,
আইসক্রিমের দোকানের লাইন লম্বা হলো,
গৃহীনির রান্নাঘরে শশা-টমেটো এর সালাদ হলো,
এসি-ফ্যান এর দোকানে খুব ভাল ব্যাবসা হলো,
গাছের তলে বন্ধুদের খুব আড্ডা হলো,
জড়ে যে আকাশের গা পুড়ে গেলো
তার খবর কি কেউ নিলো?


আকাশের কত ব্যস্ততা,
কতকিছু ঘটে যাওয়া,
তাতে কারো কিছু যায় আসেনা,
সবার শুধু সবটুকু করে নিয়ে ঘরে ফেরা,
আপনজনের পাশে বসে সুখ-দুঃখের স্পর্শ পাওয়া,
সবাইকে ঘিরে আকাশ আজ
কেনো যেনো খুব বেশি একলা একা।