জানিস বড্ডো একা লাগে
মিঠে রোদ, ভিজে ঠোঁট
অগুনতি জোনাকির আলো আর ঐ বাড়ি
পুড়েযাওয়া স্মৃতি হাতড়ে তুলে আনা, ওর শেষ ধ্বংসাবশেষ
ঘরের প্রতিটা ইট আছে, কেবল স্মৃতিতে, বাদবাকি সব শেষ
যেদিন উননের ধোয়া, প্রিয়জনদের চিতার বাষ্পে পরিণত
যেদিন গণহত্যাকে জেহাদ বলে, মানুষ কাটা চলছে শত
যেদিন সূর্য মলিন, শহর জ্বলার দগদগে আগুনে
যেদিন গোলাপের চেয়ে বুলেট প্রিয়, যৌবনের ভরা ফাগুনে
সেদিন হিটলারও বলবে তোরা দিস না নুন পোড়া ক্ষতে
সেদিন হাসবে বিশ্ব, উচিয়ে শিস্ন, জেনোসাইডের মসকরাতে।


জানিস কেন একা লাগে..
ক্লান্ত মনে, খিদের জ্বালাই
ভিটে ছাড়া সব আগুন্তুকরা, যখন নূতন দেশে এসে দাঁড়ায়
আপন পর ভুলে সব বাঁচার জন্য মন লড়ে তখন
স্মৃতি আবেগ দেয় না খাওয়া, দেয় না মোদের নতুন জীবন
যেদিন লোহার খেলনা গুলো, মিশে যাবে লাশের ছাইএ
যেদিন কেবল ফুটবে ফুল সামনে পিছনে ডায়ে বায়ে
যেদিন আমরা atom বলতে অনু পরমাণু বুঝবো কেবল
যেদিন বারুদ অশ্রুজলে, ভাসবে নিয়ে বন্দুকের নল
সেদিন যুদ্ধ হাসবে হেলাই, হাসবো আমরা, হাসবে জীবন,
সেদিন হটাৎ পাল্টে যাবে জং পরে যাওয়া এই মন
সেদিন ফুটবে শত নতুন শত নবীন প্রাণের আসা,
সেদিন শুধু বুক চিতিয়ে গর্জে উঠবে ভালোবাসা।।


© অঙ্কিত বিশ্বাস (২০.০৫.২০১৭)