কারবালাতলায় এলার মেলা বসত
মেলায় মুখোশ বেচত ন্যাড়া দাদু
আমরা তাকে মুখোশদাদু বলে ডাকতাম
মনে পড়ে
একবার বাঘের মুখোশ কিনেছিলাম
তা' দিয়ে পাড়ার ছোট্টদের ভয় দেখাতাম


তারপর অনেক লাল হলুদ দিন সরিয়েছি এই হাতে
আজও কারবালাতলায় মেলা বসে
মুখোশও বিক্রি হয়
কিন্তু আমি মুখোশ কিনি না
মুখোশ  আমাকেই কেনে
রোজ কেনে
দুবেলা মুখ ঢেকে যায় মুখোশে


চারপাশে মুখ ও মুখোশ
মানুষ মুখোশ পরে মূল্যবোধ বেচছে , বেচছে  রুপোলি সময়
অশ্লীল অন্ধকারে পোড়ে জ্যোতির্ময় জীবন


ব্রাত্য আকাশের অবসর ছোট হয়ে আসছে
লাউডগার মতো হিংসা , হানাহানি মাথা তুলছে
আমরা হোতে পারছি না
একে অপরের হৃদয়ের অনুবাদ


তার তখন স্বপ্ন দেখা শুরু
স্বপ্ন হোলো হলুদ পাখি
মলিনার কথা বলছি
সে ভালোবাসতো ইমনকে
গায়ে সবুজ উত্তাপ মেখে ইমনকল্যাণ হয়ে বাজতে চেয়েছিল
কিন্তু মলিনার অনুরাগ পাখোয়াজে ইমন রাগ হয়ে বাজেনি
দুচোখে মন্দাকিনী ভেসে যায়
ইমন ভালোবাসার মুখোশ পরেছিল
এইভাবে শত সহস্র মলিনার ভিবজিওর আকাশ ছিঁড়ে যায়
কালীদহে মধুমাখা প্রেমের অকাল সমাধি হয়


শ্বেত শুদ্রাণীর মতো রাত
আকাশের মগডালে ফুলের মতো নরম চাঁদ
মেধাবী মেঘ বৃষ্টির কবিতা পড়ে


আসুন আমরা মুখোশ খুলে ফেলি
' বোধের শুদ্ধতম নির্মিতিতে '
তাহলে মরুভূমি ভেঙে নিশ্চিত ঝরনা বয়ে যাবে