তুমি এবং বিষন্নতা
সফিউল্লাহ আনসারী

আচ্ছন্ন ক্ষতগুলো নীরবতার বরফে মোড়া
নিষ্কণ্টক অধিকার আদায়ের চেষ্টা—
চূড়ান্ত ব্যর্থতায় পর্যবসিত; অনাবৃত আক্ষেপ
বিষন্নতা, দীর্ঘশ্বাস আর, আর তুমি শব্দে বিলিন!

কাঙ্ক্ষিত সুখ এবং অসুখের আড়ালে পড়ে থাকে
ভাবনার পংক্তি, আয়ু কমছে, পালাচ্ছে ঘুম,দীর্ঘ কবিতা এবং দীর্ঘ রাত জেগে থাকে আমার চিন্তার উৎসে, শরীর জমিন
হাত ও পায়ের নির্ভরতায় আসক্ত স্মৃতিকাতরতায়!

তোমার অনুপস্থিতি এখন সময়ের মতোই সত্য
দিনপঞ্জিতে প্রতিদিন হারায় কিছুটা করে
যেমন হারায় শিশির, আলো ফোটার আগেই--;
আমিও তেমনি ক্ষয়ে যাই, নিঃশব্দে, অনুচ্চারে, ক্রমাগত।

তোমার বলা না বলা কথাগুলো ঘুরে বেড়ায়—
দেয়ালে, আয়নায়, জানালায়, কবিতার খাতায়,
একেকটা শব্দ গেঁথে থাকে কর্ণকুহরে, দৃষ্টির মোড়ে মোড়ে;
ক্লান্ত হৃদয় স্পন্দনে বাজে তোমার নামের গীত...!

ভেতরের শূন্যতায় একটা শহর গড়ে উঠেছে মানচিত্র সমান
যেখানে বিষণ্ণতা হলো সরকার আর নিঃসঙ্গতা নাগরিক;
তুমি তার একমাত্র উৎসব, একদিনের মতো এসে নিজে
ছড়িয়ে দাও গন্ধ, শীতের সকালের ধোঁয়াটে আলোর মতোন।

আমার ঘুমহীন চোখে, তোমার অবয়ব খেলে যায়
পৃথিবী তার নিয়মে ঘোরে, আমার রাত থেমে থাকে,
তোমার শেষ হাসির ভেতর, যেখান থেকে শুরু—
তুমি এবং বিষণ্ণতার এক দীর্ঘ মহাকাব্য...!