কৃষ্ণচূড়ার রঙে সেজেছে বসুন্ধরা
নব আনন্দে জেগে ওঠার আহ্বান  
এসেছে বৈশাখ ,এসেছে  নববর্ষ
এসেছে প্রাণের ঠাকুরের জন্ম সার্ধশতবর্ষ।


বেজেছে সোনার সরোদ আকাশে বাতাসে
রাঙা মেঠো পথের ধূলি ছন্দে ওড়ে ঘাসে
আম্র-মুকুলের কচি বোঁটা ও ভ্রমরের মধু মুখ
রবির শব্দজব্দে ভেসে যাক কালিমার দুখ।


ঋতু আসে ঋতু যায় সুরের তালে তালে
হিমালয়ের ঝুরঝুরে বরফ রেখাঙ্কনে সাজে
খন্ড বাংলার এক মাটি ,এক স্বরলিপি
দুকূল ভাসিয়ে বহে কাব্যের স্রোতস্বিতী  ।


এক রবির  আলোকে ভাষা মায়ের আঁচল
সৃষ্টির বর্ষণে বছর জুড়ে শস্য -শ্যামল ধরাতল
ছোটো খোকার অ আ,যৌবনের হৃদয় দোলা
আমার  সকল দুঃখের প্রদীপ, সঙ্গিনী শেষ বেলা ।


সঞ্চয়িতা ,গীতাঞ্জলি, গীতবিতান  ছাপিয়ে
আনন্দ উৎসবে প্রাণের  পুণ্য  পরশে
সকল ধর্মের , সকল জাতির হৃদয় পুরুষ
জণ - গন -মন স্রষ্টা  হে রবি ঠাকুর ।


ঘনমেঘে কৃষ্ণকলির চাহনিতে ,শরতের শুভ্র কাশে
পৌষের সাজা ডালিতে , বসন্তের রক্তিম  পলাশে
আনন্দে - দুঃখে - বিরহে -শোকে - অন্তরে -বাহিরে
রবীন্দ্রনাথ হৃদয় হারমোনিয়ামে তারার মতো সাজে,


তাঁর  কলম ছোঁওয়া প্রতি অক্ষরে
শত শত রবি ক্ষণে ক্ষণে জনমে
২৫ শে বৈশাখী ভোরে ,কোথায় প্রণাম দেবে !
তাঁর চরণতলের ধূলি সবখানে ওঠে জেগে ।