জমি করে চাষ, থাকে উপোস পূত্রের লাগি পিতা
পিতার রক্তে সকল অক্তে নন্দন করে বিলাসিতা,
কাঁটায় জনক তালিজোজ়া বসনে দিনের পর দিন
তবু তনয়রে দেয় নতুন বসন, করে ঋণের পর ঋণ ৷
পড়শীরা কয় এমন বাপ মেলা দায়
খাটুনির ফল শর্ম একদিন দিবেনই বিধাতায় ৷


পূত্ররে বিদ্যা করাইতে অর্জন,
নিজের শান্তি করিয়া বর্জন
একটি আশার বাসা বাধে
পিতা কল্পভূমে ৷
মানুষ হলে পূত্র,
হারানো শান্তি নতশিরে যাবে তাহার ললাট চুমে ৷


সেই ছোট্ট বেলায় বাছা তার পেয়েছিল বৃত্তি,
মস্তকে নিয়ে ঘুরেছিল তারে সবে দেখেছিল কৃত্তি ৷
এখন পূত্র বড় ক্লাসে সামনে পরীক্ষা,
ফিস এর টাকা জোগাড় করতে গোপনে করে ভিক্ষা ৷
তাও মেলেনা পুরো টাকা, এখন কি উপায়!
পরীক্ষার দুই দিন বাকি সময় যে যায় যায় ৷
জমিজমা সে তো দুহাত ও নেই বেচার মত,
ঋণ চাইতেই মহাজন বলে শোধ কর আগের যত ৷
শেষমেশ কিছু ভাবিয়া না পায়
সময় যে চলে যায় যায় ৷
সংসারে আছে আরো একজন সে গোয়ালের গো
হাঁটে নিয়ে তারে বেচিয়া আসিয়া মন কাঁদে হো হো ৷


বছর দুই বাদে গরীবের ঘরে উকি মারে বুঝি চাঁদ,
পূত্র তার মানুষ হয়েছে মিটেছে পিতার স্বাদ ৷
না কাঁটিতে মাস পিতার অমতে পূত্র করেছে বিয়ে,
কি সর্বনাশ! তাও আলাদা থাকে কালনাগিনী নিয়ে ৷
শ্বশুর নাকি চাকরি দিবে বানাবে অফিসার
সেই লোভে বিয়ে করেছে পূত্র তার,
তরু তলে পিতা বসে ভাবে একা
এটাই কি ছিল তার কপালে লেখা?


দিন যত হয় গত পূত্র নেয় না কোন খবর,
একদিন সে বাড়ি এসে দেখে নতুন একটি কবর ৷
পূত্র শোকে কদিন আগে পিতা হয়েছে গত,
ঘরে ঢুকে পূত্র পায় কি যেন চিঠির মত ৷
পূত্র তুমি আরো বড় হও এই আমার স্বাদ,
পরকালে গিয়েও তোমার জন্য করব আশির্বাদ ৷