প্রভাতে বকুল কুঞ্জে শোভসিত সমীর ,
এক দল তনয়া ছুটে আসে সৌরভে ৷
মনে পড়ে ? সেই কু-ক্ষণের বচন
অসম্ভব ! তুমি করেছিলে রচন,
ওগো মোর প্রিয়তম ৷
মর্ম ব্যাথার সেই আচম্কা বান,
বিবশ করিয়া দিল অন্তরে টান ৷
আসিলাম অচেনা কোন এক বন্দরে,
তোমা হতে বহু দুরে ....
ভেসে ভেসে ৷


টুটিয়াছে আশা মোর ভালোবাসা,
আঘাত দেয় সেই সুর ৷
নেই সেই বকুল কুঞ্জ,
তুমিও আজ বহু দুর ৷
কোনদিন আলোহীন বাতি নিয়ে হাতে
বসন্তের কোন এক রাতে ৷
আমার সৃতির ঝড় বহে যদি মনে
অশ্রু জলে বুক ভাসালে গোপনে,
সে আমার না চাইতে পাওয়া
সে আমার প্রেম ৷


আমার-ই ছিল সব দোষ,
অশ্রু জলে ভরা বিশ্বকোষ ৷
পূর্ণ শোকে করিনি মিনতি,
তাই হলো এতো বড় ক্ষতি ৷
জীবন সে তো চলতে চায়,
সাধ্যি কার আছে বাধা দিবে হায় ৷
হয়তো সে পায় নি আলো,
তারে কেউ বাসেনি ভালো ৷
বৃথা যাবে কোন সাধ,
নাই তার কোন অপবাদ
দিগন্ত ঘুরে এসে
অনুভবে অবশেষে,
পরাণ জুড়ায়ে দিল দক্ষিনের হাওয়া
সে আমার না চাইতে পাওয়া,
সে আমার প্রেম ৷


হে অনন্যা, এ প্রেম অক্ষয়
নাইবা হলো তার জয়,
নতুন আবিষ্কার আমার স্বভাব
তাই মোর নাই কোন অভাব ৷
মোর মৃত্যুর পরে
সেই বসন্ত বায়,
কেউ যদি আমার
গন্ধ খুজে পায়,
স্বপনে সে দেখিবে আমায় ৷
গোধূলী ক্ষনে নির্জন গোপনে
আমার তরে গান,
যদি হয় গাওয়া
সে আমার না চাইতে পাওয়া,
সে আমার প্রেম ৷