প্রথমে সে আসে এক মধুর হাতছানি,
মুগ্ধতার মাঝে দেয় স্বপ্নের টানি।
তোমার চোখে ভাসায় রঙিন কোনো ছবি,
কিন্তু অন্তরালে লুকিয়ে বিষাদ নিরব।
নেশার গন্ধে মাতে মন এক পলকে,
ভুলিয়ে দেয় যত ব্যথা জীবনের ধাঁধায়।
মিথ্যে সুখের ছায়া আঁকে মনের পাতায়,
ধীরে ধীরে ঢাকে সব শান্তি আর প্রভায়।
শরীর করে ক্লান্ত, মন হয় অবশ,
বাড়ে শুধু অভ্যাস, কমে শক্তি দশ।
বন্ধু মুখে হাসি, অন্তরেও বিষ,
এমন জীবন কি আর ভালো হতে পারে?
স্বপ্ন যে ছিল, মুছে যায় তার ছবি,
জীবনের পথে ঢোকে আঁধারের রবি।
কর্মক্ষেত্র বন্ধ, সম্পর্ক হারায়,
বাড়ে শুধু শূন্যতা, প্রাণ বিষণ্ণতায়।
মা-বাবার চোখে জল, ভাইয়ের মুখ গম্ভীর,
প্রিয় মানুষ দূরে সরে, থাকে না কেউ নিবিড়।
নেশার নেশায় ডুবে যায় কত প্রাণ,
মানুষ হয়ে হয় যেন মরণজগতের দান।
যুবক-যুবতী স্বপ্ন ভেঙে ফেলে,
নিজেকে হারিয়ে অন্ধকারে মেলে।
সুখের খোঁজে যাত্রা হয় নেশার পথ,
কিন্তু শেষে শুধুই পড়ে থাকে শূন্য গতি।
জীবনের অর্থ কি আর বোঝে না তারা,
নেশার বিষে নিজেকে করে কাড়া।
তাই বলি বন্ধু, এ পথে যেও না,
নেশার ছায়ায় জীবন নিস্তেজ, মলিন।
নিজেকে ভালোবাসো, পরিবারকেও ভালো,
নেশার পথ ছেড়ে গড়ো নতুন আলো।
মানবজীবন সুন্দর, এটুকুই জানি,
তাই বলি নেশা নয়, স্বপ্নে মেতে থাকো আপন প্রাণে।