সে এক দূরন্ত চোরের মতো--
যতই জটিল দরজা হোক ভেঙে ভিতরে চলে আসে;
        যেন শতপায়ের কোটারী,
দুটি পা ছিড়ে নিলেও বাকি পায়ে হেঁটে আসে..


সে এক বিরক্তিকর অতিথির মতো--
যতই দূর্ভিক্ষের যুক্তি দেখাও সে আসে প্রতিমাসে;
       যেন এক বন্য স্তন্যপায়ী,
নতুন সন্তান জন্ম দিয়ে বারবার ফিরে আসে..


সে এক আসামীর মতো--
যতই শাস্তি দাও সে কারাগারে আবার ফিরে আসে;
       যেন দামী গাছে বেড়ে ওঠা আগাছা,
ছিড়ে দিলেও আকর্ষি জড়িয়ে ধরে বারবার..


সে এক চালাক সৈনিক--
যত বিদ্রোহ হোক সে জয় ক'রে ঘরে ফিরে আসে;
       যেন আমার মাথার অবাধ্য চুল,
যতবার তাকে কানের পাঁচিলে বন্দী করি
সে ঝুঁকে পরে বারবার মুখের উপরে..


             সে বারবার ফিরে ফিরে আসে
             বিরক্তির অনুভূতি জাগাতে
             যে অনুভূতি আমাকে বাঁচিয়ে রাখে


যদি সে চোর ধরা পরে যায় কোনোদিন,
আমার অনাহার যাবে--
       সেই চোরের ঘরে থাকা জায়ার মতো;
যার জন্য সে চুরি করে রোজ..


যদি সে অতিথি থেমে যায় কখনোও,
আমি অনাথ হয়ে যাবো--
       সেই অতিথির বিদেশ যাওয়া সন্তানের মতো;
যার দর্শন নিতে সে বারবার ছুটে যায়..


যদি সেই আসামীর ফাঁসি হয়ে যায়,
আমি নিঃসঙ্গ থেকে যাবো--
      সেই আসামীর কারাগারে একা সহচরের মতো
যার সঙ্গ দিতে সে কারাবদ্ধ হয় প্রতিবার..


যদি সেই সৈনিকের মৃত্যু হয় যুদ্ধে,
আমারও মৃত্যু হয়ে যাবে--
      সেই সৈনিকের ঘরে থাকা মহারথির মতো;
যার জন্য সে ফিরে আসে সব বিদ্রোহ ক'রে-
      মাস পরে..ঋতুর পরে..শতাব্দীর পরেও...