দেশে এখন প্রতিনিয়ত
যুদ্ধের হুমকি দিয়ে যায় শত্রুপক্ষের সাইরেন
আমার ঘরে বিদ্রোহ লেগে থাকে নিয়মিত...


সে উষ্ম জলের নির্যাতন ছুড়ে দেয় আমার বুকে;
--ঢেলে দিয়েছি আমি সামান্য আর্দ্রতায় অশ্রু
তার কঠোর বুকের উপরে...


সে হিংস্র হাতের নিষ্ঠুর আঘাতে
আমার মশৃন গালে আচমকা ভয়ানক শব্দ করে,
রেখে যায় গাঢ় লাল আঙুলের ছাপ;
--আবারও তার দুই হাত নীয়ে
ধ'রে থাকি শান্ত গালে আমার যন্ত্রণার উপরে...


সে ছুড়ে ফেলে দিতে চায় ঘরের বাইরে;
আরও জোরে--
তাকে আঁকড়ে ধরি প্রতিবারই সমস্ত শক্তি দিয়ে...


তার পারদ ছোঁয়া আক্রোশ
              আমার পোশাক ছিড়ে দেয়;
যেন বারুদে বারুদে--
               ক্ষত হওয়া যুদ্ধ-জাহাজের ছিন্নপাল...


অবশেষে নির্যাতন মেনে নেওয়া
                  আমার ভেঙে পরা স্বাস্থ্য দেখে,
তার পরিবর্তন শুরু হয়েছিল।
শেষবার যখন আমার--নির্যাতনে অসমতল মুখে--
হাত তুলতে গিয়ে সে দেখেছে,
আতঙ্কে বন্ধ হয়ে আসা শক্ত চোখ নীয়ে
পাশের দিকে ছিটকে সরে গেছে আমার ভয়ার্ত মুখ।
কেঁপেছিল তার হাত আমার ভীতু ঠোটের মতো...


তার মতো নিষ্ঠুর মানুষকেও
                       এতই পরিবর্তন হতে হল,
তবু--
সে অহিংস নীতি থামাতে পারেনি
                 দেশের বিদ্রোহ কখনোও।
নতুন সাইরেনে আমাদের দেশ ত্যাগ করতে হল..
সীমান্তের পাশাপাশি আমি দেখেছিলাম
শত্রুপক্ষের বারুদের ছুরি আগুন নীয়ে
            এগিয়ে আসছে, আমার দিকে--
                     ভয় পাইনি আমি,
ঘরের নির্যাতন আমাকে সাহসি করে তুলেছে;
আচমকা ভয় হল সামান্য মুহূর্তের জন্য--
                      তাকে দেখে--
আরও একবার সে দাড়াল এসে,
                  প্রাচিরের মতো আমার সম্মুখে।
আমার মুখে তার হাতের আঘাতের থেকেও-
                            ভয়ানক শব্দে,
       বারুদের জ্বলন্ত ধাতুর টুকরো গেঁথে গেল
                তার শরীরের অনেক গভীরে;
আমাকে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার থেকেও-
                          ভয়ানক আঘাতে,
আমার নির্যাতনে আসা রক্তের থেকেও-
                            ভয়ানক রক্ত নীয়ে,
আমার বুকে ছোড়া উষ্ম জলের থেকেও-
                             ভয়ানক জলে,
                 তলিয়ে যেতে দেখেছি তাকে।
আমার সমস্ত নির্যাতনের বদলে
                   সামান্য শাস্তি নীজেকে দিয়ে,
আরও ভয়ানক বিরহের শাস্তি সে দিয়ে গেল
            --আমাকে....সারাজীবনের মতো..