সেই তুমি গেলে,
আর কেটে গেলো ষোড়শ দিবস
এভাবেই হয়তো কেটে যাবে সহস্র!
পিছনে ফিরে তাকালে না একটিবারের জন্যও,
তাকালে দেখতে আমি দাড়িয়ে আছি সেখানে-
যেখানে তুমি আমাকে ফেলে গেছো;


সারাজীবনের জন্য চলে গেলে আমার জীবন থেকে!
সেই দিনটি প্রতি মুহুর্তে ভাবি;
যেদিন তুমি আমাকে মেসেঞ্জারে চিরকুট পাঠিয়েছিলে-
চিরকুটে লেখা ছিলো- "ওয়ালিদ, এতো দ্রুত সবকিছু হয় যাবে আমি ভাবতে পারিনি। আমার বিয়েটা হয়ে গেছে। "
আমি নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম!  
আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো;
আমার চোখে আলো ক্ষীণ হয়ে গেলো,
মাথাটা ঝিমঝিম করতে লাগলো,
মাথার ঠিক পিছনপাশটা এমন ব্যাথা করতে লাগলো যেন আমার শরীর ঠান্ডা হয়ে আসছে!


আমি তোমাকে অভিবাদন জানিয়েছিলাম,
বলেছিলাম -"আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করেছেন। আমি চেয়েছিলাম তোমার বিয়েটা শীঘ্রই হোক সেটা আমি কিংবা অন্য কেউ"


আল্লাহ আমাকে তোমার যোগ্য মনে করেননি।


তারপর বিয়ের তৃতীয় দিন তোমার সাথে আমার কথা হয়েছিলো-
আমার হতাশার একমাত্র ঔষধ তুমি। সেদিন রাতটা ভালো কেটেছিলো। তুমি আমাকে বুঝিয়েছিলে- পাগলামী না করতে।


তারপর কেটে গেলো আরো তেরো দিন ;
আমি তোমার সাথে দু'বার যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম,
তুমি অস্বীকার করেছিলে কথা বলতে!


এসব কোনো অভিযোগ নয় তোমার প্রতি
শুধু একা থাকতে না পারার অসহায়ত্ব!


তোমাকে ভালোবেসেছিলাম, ভালোবাসি
আর ভালোবেসে যাবো সারাজীবন মনে রেখো।


প্রেমিক থেকে বর হয়ে ওঠা হয়নি কোনোদিন।
ইচ্ছে ছিলো তোমাকে সম্রাজ্ঞী বানাবো আমার সুখের রাজ্যে-
পারিনি! আক্ষেপ নেই, আফসোস নেই, অভিযোগ নেই....
সকল না পাওয়ার মাঝে আত্মতুষ্টি আছে;
একজীবনে তোমাকে শতভাগ ভালোবাসতে পেরেছি।
তোমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান চারটি বছর আমাকে দিয়েছো, মন থেকে ভালোবেসেছো, সঠিক পথে চলার নির্দেশনা দিয়েছো, সম্মান করেছো। আমি সম্পূর্ণ হয়েছি তোমার ভালোবাসায়।
এই জীবনে আর কিছু চাওয়ার নেই।


ভালো থেকো ভালোবাসা।।