৪৭'র দেশভাগ,
ঊনপঞ্চাশে আওয়ামীলীগ কমিটি
বজ্রকন্ঠের সাহসী বীররুপে আবির্ভাব,
তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের নিপীড়ন, গণহত্যা।
বাংলাকে জাগ্রত করার মতো সাহসী মানুষ ছিলোনা
মুজিব ছিলেন পূর্ব-পাকিস্তানের ট্রাম্প কার্ড
তার বজ্রকন্ঠ ছিলো পরাজিত না হবার শিক্ষা।


উনিশশত আটান্ন সাল,
বাংলার উপর চালানো হয় সামরিক শোষন
তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের ইয়াহিয়া, ভুট্টোরা
বাংলাকে পদাঘাত করার জন্য জোরপূর্বক,
নীতি নির্ধারণ করে অসম রুপে চাপিয়ে দিচ্ছিলো!
মুজিব বসে থাকতে পারেননি,
বাংলার উপর চাপানো সব অসম নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন,
বাংলাকে নরখাদক, হায়েনাদের শিকল থেকে
মুক্ত করতে আওয়াজ তুলেন বজ্রকন্ঠে,
বাংলার মুক্তির সনদ রচনা করলেন এবং
দাবি আদায়ের সংগ্রামের ডাক দিলেন,
বাঙালি জাতি আর কোনো নিপিড়ন সহ্য করবে না।


উনিশশো ছেষট্টি সাল,
ডাক দিলেন ছয় দফার
আমাদের দাবি মানতে হবে।

এরপর বাংলাকে আর দমিয়ে রাখতে পারেনি হায়েনার দল,
ঊনসত্তরেে আইয়ুব সরকার বিরোধী আন্দোলন তীব্রতা পায়,  
মুজিবের নেতৃত্বে বাংলা হয়ে ওঠে শক্তিশালী,
সত্তরের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় মুজিবের নেতৃত্বে।


১৯৭১ সাল,
মার্চ সাত,
ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসভা
বক্তব্য রাখবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বাংলার মানুষ মুক্তির আশায় জড়ো হলো সকাল থেকেই,
দুপুর হতেই মানব সমুদ্র
মুজিব উঠলেন স্টেজে
বাংলার মানুষ আশায় বুক বাধলো
মুজিবের কন্ঠে ভেসে এলো-
'এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম '
আঠারো মিনিটের বক্তব্যই ছিলো
বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা।      
সেদিনই বাংলাদেশ মুক্তির সুঘ্রাণ পেয়েছিলো
এরপর এলো চুড়ান্ত বিজয়।                      
একটা স্বাধীন, সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র
যার রুপকার বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান
"শেখ মুজিবুর রহমান "  
তার অবদান কখনো ভুলবো না।
মুজিব মানেই হার না মানা,
মুজিব মানেই বাংলাদেশ।

জয় বাংলা          

১৩.০৩.২০২০
ভিক্টোরিয়া পার্ক, মিউনিসিপ্যাল স্ট্রিট, লক্ষীবাজার, ঢাকা-১১০০।