মন খারাপের দিনগুলোতে তোমাকে চাই না
মন ভালোর সময়ে তোমাকে চাই।
জানালার রেলিং দিয়ে আকাশ দেখার মুহূর্তে
তোমাকে চাই না,
বিশ্রামের মুহুর্তে দুষ্টুমীতে তোমাকে চাই।
ছাদে শুয়ে আকাশের বুকে দৃশ্যমান  তারা গণনার মুহুর্তে তোমাকে চাই না
পূর্ণিমা রাতের পূর্ণচন্দ্র উপভোগের সময় তোমাকে চাই।
নদীর হিংস্র রুপ অবলোকনের মুহুর্তে তোমাকে চাই না
শান্ত, স্নিগ্ধ রুপোলি জলের কলকলধ্বনি শ্রবণের মুহুর্তে তোমাকে চাই।
জলপ্রপাতের জল আগমনের রহস্য জানার কৌতুহলে তোমাকে চাই না
তার জলে নগ্ন শরীর ভেজানোর মুহূর্তে তোমাকে চাই।
নিকোটিনের অনুপ্রবেশের দেয়াল হিসেবে তোমাকে চাই না
প্রশান্তচিত্ত মনে ভালোবাসার খুনসুটিতে তোমাকে চাই।
জঙ্গলের নির্জনতায় শুকনো পাতার মর্মরধ্বনি শুনতে তোমাকে চাই না
রাতের নির্জনতাকে সাক্ষী রেখে নতুন পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে তোমাকে কাছে চাই।
ব্যস্ত নগরীর যানবাহনের কোলাহলে তোমাকে চাই না
গ্রামীণ বিস্তীর্ণ ধানক্ষেতে দোল খাওয়া পবনে তোমাকে চাই।
গগন কেঁপে ওঠা বজ্রপাতের হুংকারে তোমাকে চাই না
বৃষ্টির দিনে কদম ফুলের সৌরভে তোমাকে চাই।
গ্রীষ্মের খাঁ খাঁ রোদ্দুরে তোমাকে চাই না
শরতের কাশবনে তোমাকে চাই।
দূঃস্বপ্নেররাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে শরীর হিম হয়ে আসার মুহুর্তে তোমাকে চাই না
স্বপ্ন বাস্তবায়নের অনুপ্রেরণায় তোমাকে চাই।
বসন্তের পাতা ঝরা বৃক্ষরাজির বটমুলে তোমাকে চাই না
প্রাণ জুড়ানো দখিনা সমীরে তোমাকে চাই।
কৃষ্ণচূড়ার মঞ্জুরীতে তোমাকে চাই।
কোকিলের সুরেলা কন্ঠের গাওয়া গানে তোমাকে চাই।
গৃহিনীর হাতের চুড়ির নিক্বণে তোমাকে চাই।
কচি লাউয়ের ডগায় তোমাকে চাই।
সমুদ্রের নীল জলে তোমাকে চাই।
নীলগিরি নীলাচলের উঁচুতে তোমাকে চাই।
মেঘের ভেসে বেড়ানোয় তোমাকে চাই।
বকের পাখার ভিড়ে তোমাকে চাই।
পদ্মপাতায় তোমাকে চাই।
কিশোরীর নৃত্যোৎসবে তোমাকে চাই।
বাতাসে ভেসে বেড়ানো শিমুল তুলায় তোমাকে চাই.......