পঁচিশ বছর কেটে আজ
কৈশোর থেকে যৌবনে
তমিস্রায় ঢাকা জীবন
একা পাষাণ সংসার।।


রোমাঞ্চহীন দুই যুগ
শূন্যতায় হৃদয়ে দহন
তটিনীর লহরে সলিল সমাধি
অন্তরীক্ষে অনুপস্থিত ঝলমলে প্রভা;
নিকেতনে বেলা ফুরাবার লোর-
অদৃষ্টে নেত্রবারি।।


কোনো এক শরতের বিকেলে
দেখা হলো ললনার সাথে ,
কথা হলো-
হৃদয়ে হিল্লোল উঠলো প্রেমের
বসন্তদূত গেয়ে গেলো কুহু কুহু
বিপিনের তরুমাঝে প্রসূন ফুটিলো
লোচন প্রজ্বলিত হলো
সৌদামিনীর কিরণে।।


তার দীঘল কালো কুন্তল-
আমার অন্তরে তিমিরের পরিবর্তে এলো সুধাকর।।


মনের বাজী ছুটে চললো দিগ্বিদিক
ঝিল ছেয়ে গেলো শতদলে
দখিনা অনিলে শুধু পুষ্পগন্ধ
হৃদয় ব্যকুল করা তোমার হাসি-
তোমার সংস্পর্শে আমি হয়েছি
গগণের স্বাধীন বিহগ।।


তোমার ভালোবাসা আমাকে
আশ্রয়ের স্বপ্ন দেখায়-
আমি পরিণত হই ব্রহ্মাণ্ডের
সবচেয়ে সুখী মানবে।।


ইদানীং রাত আমার বড্ড পছন্দের
তোমাকে কাছে পাওয়ার বাসনা
আমাকে বাঁচতে শেখায়-
তোমার কুসুমিত কবরী
আমার নিশ্বাসকে মূল্যবান করে তোলে।।


তুমি আছো, মানে হলো
পৃথিবীতে আমি অমূল্য;
তুমি নেই মানে আমি অসম্পূর্ণ!!


০৫।০৮।২০২২
বউ বাজার, বাসাবো, ঢাকা।