হৃদে প্রেম দিলে যদি
               অপরূপ করে কেন দিলে না?
তুমি, বয়ে চলে যাও নদী
               দগ্ধ মরুভুমে কেন এলে না?
        আক্ষেপ নয়-
             এই রুপখানি, কোথা রাখি ঢাকি,
         ভুলি সংশয়-
                  মিলেছিল দুজনারই আঁখি।
কত শত দিন-মাস বৎসরে মেশে,
         তারে হেরি ভ্রমিলাম, দেশ হতে দেশে।
বেদুইন ব্যাথা, জীবন তারে ভালোবেসে-
            মেঘ হতে মেঘে, মন যায় ভেসে।
ফুল্লফুলে গুঞ্জন, করে মাধুকরী
          বাসন্তী পলাশ, গুলাল রাঙা চারিদিক্‌
দিবসের অবশেষে, ঐ এল শর্বরী
           সুবিজন কুঞ্জবন, জ্যোৎস্না অনিমিখ্‌
বধূ, যখন তুমি পড় মনে,
  চলি যাই মন্দির পানে-
          ভাঙি টুকরো টুকরো করি দেবতারে।
ফিরে পব তারে, কে বা তাহা জানে?
    পাইতাম যদি, রাখিতাম বাঁধি, মন কারাগারে
পূজিলাম যারে, মোহমায়া দিয়া...
                        এই হিয়া মাঝে
সে কায়া হীন ছায়া
             আজও এ হৃদে স্থানুবৎ বিরাজে।