কতগুলো হাত, চেপে ধরছে আমার বুক।
কতগুলো দাঁত, ক্ষত বিক্ষত করছে আমার স্তন,
কিছু লেলিহান জিহ্ব স্তনবৃন্ত থেকে...
তাদের অবাধ বিচরণ।
বাবা চঁন্দ্রবিন্দু লাগিয়েছেন নিজের নামের আগে,
দুরারোগ্য কান্সার।
ছোট্ট দুটি ভাইবোন, কি করা যাবে এখন।
জমি জায়গা, বাড়ি গাড়ি গয়না সকল-
গিয়েছে বাবার সাথে।
হঠাৎ আবার দূরারোগ্য ব্যাধি, অস্ত্রপাচার মায়ের বুকে
সাহায্যের বাড়নো কত হাত, বিনিময় আমার বুক।
মায়ের বৃদ্ধ ডাক্তার, সরাসরি বলেছিল কথাটা-
স্ত্রীর সাথে বনিবনা নেই, সুখ নেই।
শান্ত করেছি তাদের জৈবিক তাড়না।
এত শুধু ডাক্তারের ফিজ্ (Fess), এখন খরচ অনেক;
আগে থেকে দালালের পরিকল্পনা ছিল নিপুন-
ডাক্তার বাবুর ও আগে...
ক্যামেরার সামনে,
একে একে খুলেনিয়েছে আমার অর্ন্তবাস,
কিছু লোক। আলো, রূপসজ্জা, ও বিভিন্ন সরজ্ঞাম হাতে
আরও কিছু লোক। ঘুরছিল ইতি উতি,
তাদের দাঁত, নখ, জীহ্বা ও হাতের অবাধ বিচরণ,
আমার শরীরের প্রতিটি গোপন কোনায়।
ডাক্তার বাবুর যোগাযোগ করে দেওয়া দালাল বলেছিল
আমার সতিচ্ছদ বিদারন রক্তছবি, নীল ছবি...
বাজারে বিকোবে চড়া দামে।
পাড়ার ভাইদের হাতে বাঁধা রাখী, তাদের ভাই ফোঁটা-
পাড়ার নাটক ও নাচের সেই মঞ্চ,  নিঃশ্চুপ।
ব্যঃজেষ্ঠদের বিজয়ার প্রণাম
আর কেউ নেবে না-
আর কেউ দেবে না আর্শিবাদ।
কাল সবাই জেনে যাবে আমার শরীরের
কোথায় আছে, কটা তিল। চোখ দিয়ে-
এই স্নেহের শ্রদ্ধার লোকগুলো গিলে গিলে
খাবে, আমার নির্মেদ শরীরটাকে।
বাসে ট্রেনে টেরিয়ে দেখবে লোকে আমাকে,
চাক্ষুস করবে মূর্তিমান এক
নীল ছবির নায়িকাকে।
মুখ লুকাবো কোথায় জানিনা-
কাল সকালে বাজারে আসবে আমার ছবি, নীল ছবি।
আজ রাতের বেলা ডাক্তারবাবু,
ফোনে জানাল তাঁর একটু ভূল হয়েছিল।
বয়সের দোষেই হয়তো,
এখন সংশোধন করে নিয়ে বললেন-
অস্ত্রপচার করা হলেও মা আর বাঁচবেনা।।