গাঙুড়ের কালো জলে পা ডুবিয়ে বসেছিলাম তার চরায়-
                   একদিন এই নদী, ভেলা ভেসে সতী বেহুলা
দেবেন্দ্রের সভায়। উদোম তনুবল্লরীর ছান্দিক নৃত্য গীত।
নরকের নারীমাংস লোভী পিশাচ ও দেবকূলের তফাৎ কোথায়,
                                                     তখন সে ছিল বন্ধ্যা সময়।


চর্যাপদ, শ্রীকৃষ্ণবিজয়, রবীন্দ্রনাথ, হয়ে হেমেন মজুমদার
             পেরিয়ে, সমাজের সর্বত্র এখন কর্পোরেট সময়।
     কষ্টার্জিত শিক্ষার আদর্শ নিয়ে, ঘরে ফেরে ব্যার্থ পুরুষ,
    হীন নারী পদোন্নতি করে চলে, কতৃপক্ষের শয্যা উষ্ণ কোরে
                                  অতি আধুনিক তবু, এখন বন্ধ্যা সময়।


       চারিপাশে হাহাকার তীব্র চাহিদার- তবুও বিপ্লবের ভ্রুন
       নারকীয় হত্যালীলা করে চলে রাজনীতির ব্যবসায়ীরা
যতই সমাজের চোখে হোক না অবৈধ। হাজারো কুঠার এসেছে
ধেয়ে, এত হিংসা, এত রক্ত, এত অনাচার। তবু একটা বিদ্রোহ
করেনি প্রসব। সেকাল একাল চিরকাল, আসলে সে বন্ধ্যা সময়।
                                         সময় অনন্ত চিরস্থানু সে বন্ধ্যা সময়।