যে মেয়েটা আত্মহত্যা করেছে, ভেবেছিল-
                                     নিগূঢ় নিকষ ধ্বান্ত ত্রিযামার বিভাত হবে না আর,
কেন মেয়েটা আত্মহত্যা করেছে?
                                            আসলে জীবনের স্বরূপ সে দেখে ফেলেছে।
জীবনের কী কী রূপ সে জেনেছে?
                                         সে জেনেছে, শীতল দাম্পত্যের প্যারালাইজড
স্ত্রীকে লুকিয়ে, অঙ্কের স্যার তার কাছে একটু ঊষ্ণতা চায়।
                                                     রাস্তাঘাটে বয়ঃসন্ধির বালক থেকে বৃদ্ধ
কল্পনায় তাকে অন্ধকার গলিতে একা পেতে চায়।
                                               সেই বছর পাঁচেক আগের, যার স্মৃতিগুলো
তুলসী জপের মালার মত, এখনো জড়িয়ে রাখা মনের গলায়,
                       সাগর সঙ্গমের পর, বলেছিল হাইমেন র‍্যাপচার হবার পর
সে এখন, তার কাছে প্রেমীকা নয়, মাংসের দলা।
                           ভুলে যাওয়ার অনেক বৃথাচেষ্টার পর এখনও মনে আছে
প্রবঞ্চক প্রেমিকের সেই মিছামিছি প্রনয় বাগদান।
                                    শুধু তো বাইরে নয়, ঘরের পরিবেশও বড় গুমোট।
পিসতুতো দাদা একদিন হঠাৎ তার ঊরু খাঁমচে ধরে
                   বলেছিল হ্যাভ ফান...লেটস এনজয়! আর কিছু অশ্লীল প্রস্তাব-
মেয়েটা আরও বুঝেছিল যে, টুপু মামা
                                                  আসলে মায়ের ভাই নয়, মায়ের প্রেমিক।
একদিন সাত সকালে ঠাকুরঘরে সে শুনেছিল
                                     ক্রমাগত ভেসে আসা টুপুমামা ও মায়ের শীৎকার।
ঠাকুরের আসনের পাশেই একদিন সে দেখেছিল
                             ব্যাবহার করে ফেলা নিরোধ,       নির্যাস সহ টুপুমামার।
সে বুঝেছিল, বাবা আসলে ঠিক মাতাল নয়,
              লাল তরলে ভর করে তার বাবা, কদর্য বাস্তব থেকে পালাতে চায়।
কিন্তু বাবার নিরবতা তাকে কুঁরে কুঁরে খায়।
                               মেয়েটার চার পাশ জুড়ে, শুধু  অন্ধকার বিষের বাতাস


          তাই মেয়েটা বলেছিল, ও মৃত্যু তুই কি আমায় বাঁচাতে চাস!