এখন আমার জীবনের প্রতিটি রাত ফুলশয্যা বাসর,
   নির্বাহ করি ভীষ্মের শরশয্যার উপর।
অনামিকার কুচাগ্রের মত গোলাপি রঙিন;
  সংসার ফেলে, কবিতার টানে পড়ে থাকি
নিষিদ্ধপল্লীর কোনো এক সঞ্চারিকার অন্ধকার স্যাতস্যেতে চিলেকোঠায়;
শুধু কবিতার টানে।
কবিতার জন্য কবিতা লিখব বলে-
অনামিকার অক্ষতযোনি, পায়ের লেগে থাকা ধুলোর মত;
আমি হেলায় অবঞ্জা করি।
হট্টবিলাসিনী ছিনাল নগরবধু ও বারাঙ্গনাদের মাঝে খুঁজে ফিরি-
তাদের সেলোফেন সতীচ্ছদ নির্মিত
সানগ্লাসের মধ্যে দিয়ে দেখার চেষ্টা করি দুনিয়াটাকে।
তবু একটা কালজয়ী কবিতার জন্ম নেয় না,
একটাও তো পতিতালয়ের সামান্য হট্টকাব্য প্যায়দা হয় না।
তবে কি কালজয়ী কবিতার সাথে আমার সঙ্গম স্বপ্ন
অধারাই থেকে যাবে।
তবে কি আমার কবিতা অশ্লীল ও নিষিদ্ধ হয়ে রবে।
সুগৃহী বা বারবনিতা কিংবা শিক্ষিত সমাজ,
নিরক্ষর জনগন, আনকালচারড সোসাইটি...  
    তবে নিষিদ্ধ হবে কি,
সমাজের সবার কাছে, হয়ে রবে কেবলই এক
     নিষিদ্ধ কবিতা!