একদিন আমার কানে বলে গেল ডারউইন;
আমার পিতৃপুরুষ নাকি বাঁদর ছিল...
তাই আমার মস্তিষ্ক আদিম পাশবিকতায় ভর্তি।
ধর্ষিতা নারীর জবানবন্দিতে লেখা আছে আমার
পূর্বপুরুষের বরদান,     প্রবৃত্তি ও কীর্তি।
আচ্ছা! তবে গৌতমবুদ্ধ বা যীশূখ্রীস্টের পিতারা...
তবে তাঁরা কারা?
ওঁরাও কি মানুষ ছিলেন? না কি আমার পিতার মত!
আমাদের চারপাশে যা ঘটে প্রতিনিয়ত,
জানতে চাই তার সত্যতা কত?
যা ঘটবার তা ঘটেচলে অবিরত-
সময়ে শুখায়, সময়ের ক্ষত।


আর একবার এসেছিল স্যার ফ্রয়েড
বলে গেল দোষ আমার নয়-
দোষ পরিবেশের, দোষ আমার মনের।
আরও বলে গেল-
আমার ক্ষুন্নিবৃত্তিই
আমার আদিম প্রবৃত্তি(basic instinct)।
ফ্রয়েড বাবু বলে গেল ক্যান্সার সমাজের নয়,
প্রজন্মেরও নয়
আসুখ বাস করে মানুষের মনে;
রোগ ভোগ, যত জ্বরা সেরে যায়
যদি মানুষের পিতাপ্রবৃত্তিকে অবরুদ্ধ করা হয়
ফাটকের অন্ধকার কোণে
কখনও বা আনমনে
অথবা অতিব গোপনে,
ও ভীষণ সন্তর্পণে ।।