চারপাশে যুদ্ধের দামামা,  রণতরী সাজানো হচ্ছে,
বোমারু বিমানের রক্তমাখা গরম বীর্য ছিটকে বেরচ্ছে।
বাতাসে আজ তাজা বারুদের গন্ধে, সন্ত্রাসের লিফলেট
শিশুকে ঘুমপাড়ানি গান শোনায় বন্দুকের বেয়নেট।
শুকিয়ে যাওয়া মাতৃস্তনে, বৃথাই অন্বেষণ দুধের ফল্গুধারা
সদ্যজাতরা, লাইন-অফ-কন্ট্রোল চিবিয়ে খায়, মানুষ গৃহ হারা।


সময়ের ঘুরছে চাকা,  তবুও থমকে থেমে থাকে ঘড়ি
মায়ের চোখের অশ্রুজল পাঁকিয়ে, তার ছেলের ফাঁসির দড়ি।
যুদ্ধবাজ হায়নাগুলো,    বিশ্বায়নের জিগির তুলে,
নিজেদের ছুঁইয়ে দেয়, বিপক্ষের সকল পটল ফুলে।
হোক সে পঞ্চমি হোক বা ষোড়শী, হলেই হবে শুক্লপক্ষের চন্দ্রিমা
গোলমরিচ আর মশলা সহযোগে জীবন্ত মাংসের ঝলসানো কিমা।
তারিয়ে তারিয়ে লাল পাণীয় দিয়ে; সারছে তারা আমিষী বনভোজন,
চাঁপ চাঁপ জমাট বাঁধা রক্তদিনে মনুষত্বের কে করবে অন্বেষণ।


চারপাশটা কী ভীষণ শান্ত,    যেন শশ্মানের নীরবতা
এভাবেই বুঝি শেষ হয়! বন্দুকে-বারুদের সাথে বিপ্লবীদের যৌনতা।
আফশোষ! যৌবনকে পরিত্যাগ করেছিলাম সেই বছর তিরিশ আগে;
সপ্তসিন্ধু রক্তদিনে, কোন পাগলেইবা আর নিজের দীর্ঘ্যায়ু মাগে।
সঙ্গী আমার আশি বছরের পুরনো শরীর, আর রদ্দিপচা হৃদয়
যেথা যে আছো, তোলো হাতিয়ার, বীরপুঙ্গবেরই হবে জয়!
ওরে তোরা তোল্‌রে, যা আছে বন্দুক বা কুঠার অসি, আঘাতে আঘাত হান।
জীবনের আর ভিক্ষা নয়, দয়ার দাবীতে মোরা দেখেছি অপমান


কাল এসে বারবার কানে কানে বলে, এবার থাম্‌রে দেখি!
চোখ মেলে আর এত চেয়ে, দেখবার বাকী আছেই বা কী?
নিজের অধিকার কেউ দেবে না আর আগ বাড়িয়ে-
নিজের মৃত্যুকে ছিনিয়ে নিস্‌রে তোরা, মৃত্যুকেই পায়ে মাড়িয়ে।