ঢেউয়ের মতন নিঃশব্দ কৈশোর
যখন অন্ধকার বেয়ে নামে,
চেনা এলো পথ, চেনা নদীপাড়-
ঢিপি করা নুন ,পুরানো কথা সে হাজার
বালি ঝড় হয়ে -ঈশান কোনে থামে।


অনেকটা বৃষ্টির পর কিংবা অনেকটা ধ্বংসের পর
অনুচ্চারিত প্রেমের অবয়ব পলকা সুতোয় বাঁধা।
মাথা জুড়ে চলে ছেড়া পাতা জোড়ার-
বড্ড কঠিন ধাঁধা।
দুচোখে শক্ত মাটির রোদে পোড়া দাগ,অজানা ভাষা
ভেঙেছি শেকল ,ছাড়িনি তবু অসম্ভবের আশা।
মনে মনে রোদ পোষ মেনেছে ,
ভস্ম ঢেলে শ্ত্রূ মুখে ।
হাতের রেখার নদী পথে
অতল ঘুরে, কাজল চোখে।


ঘুম হারানো বৃষ্টি দিনে
পন করেছি আপন মনে।
এই শহরের ভোরের স্নানে
জাগবো আমি নতুন প্রানে।
খুঁজবো আবার নতুন করে উড়ন্ত চিল,
শুধুই কি তুমি ফর্সা মুখ আর শব্দ নীল?
শ্লোগান দেবো বর্ষ জুড়ে বর্ষা থাকুক
কৃষক থালায়,শ্রমিক পাতে ইচ্ছা বাঁচুক।


আমি যখন আটকে থাকি তোমার চুলে
বেড়ে চলে উপত্যাকার ঘাস ফটোন্যাস্টি ভুলে।
বাতাস তরী বইবে শুধু ছোট গল্প যদি
আমায় জেনো চিনিয়ে রেখো নাম না জানা নদী।
বীজ হতে বৃক্ষ,ডিম হতে পাখী-সবই এখানে চেনা
অন্ধকারে সাঁতরে বেড়াই উজান নদী- লাগে যে অচেনা।