আমরা যারা আগুনের পাশে দাঁড়িয়ে,
দলা করা রক্ত গিলতে গিলতে পুর্নিমার চাঁদ দেখি-
আত্মসম্মান আর লোটাকম্বল হারিয়ে।


শ্মশানের পাশে আমাদের বাস
ঘুমাতে যাই রোজ দেখে লাশের পর লাশ
স্বপ্নে শুধু চারিদিকে চৈত্র মাস।


আমরা যারা পটলের আর লঙ্কার দাম না পেয়ে
মুখ বুজে বেঁচে থাকি অর্ধেক রেশন খেয়ে
জল ঢেলে স্নেহ মাখী মাটির যৌবনে
ধানজমির সবুজ বাঁচাই শরিরি উপাদানে ।


প্রেমের চেয়ে আমাদের মৃত্যুভয় বেশী
বসন্ত রং বাস্প হয়ে দেখায় মাংস পোড়া পেশী
শরির কাঁপে নাম শুনে বিদেশী।


আমরা যারা সাদামাছি লাগা জবাগাছের মৃত্যু বুঝিনা
নিজের ভেতরের নিজেকে কোন সৃষ্টিতে খুজিনা।
জানতে চাই  তবু অসুখে কেমন থাকে ভ্যটিকান,বৃন্দাবন ও মদিনা ?


অহঙ্কার যেভাবে আমাদের উপলব্ধি গ্রাস করে
অতিত-ভবিষ্যতের বিষদাঁত তাজা মুহুর্তকে মারে
নিজের কঙ্কাল খুঁজি তাই রাজপথ হতে মেঠপথের ধারে।


আমরা যারা বৈশাখী রোদে ভিজি
ন্যাতানো ফুল আর বিকৃত সুত্রে ভরি সাজি
বিজ্ঞান,দর্শন,রাজনীতি মুছে ফেলতে রাজি।
যদি ফিরে পাই দুঃখহীন,ভাবনাহীন প্রাকৃতিক শৈশব
ফড়িং ,বুলবুলি আর গোল্লাছুটের কলরব।


ভিখারির ঘোলাটে চোখে আমরা যারা নক্ষত্র দেখেছি
বুড়ো শ্রমিকের ফুলে ওঠা ধমনীতে স্বপ্ন বেধেছি
আগুনে পোড়া আমাজনের আর্তনাদ মেনেছি।


আমরা যারা ভিক্ষা চাই বৃষ্টি
মরুভূমির পাশে,লাশের পাশে বাচাঁতে নতুন সৃষ্টি।
ডান,বাম বা মধ্যপন্থী না রেখে দৃষ্টি
আমরা সবাই বাচিঁয়ে রাখি নিম্নপন্থী কৃষ্টি।


পৃথিবীর এই অসুখের দিনে –
লাঙল ধরা হাতের রেখা চিনে চিনে
লিখতে পারো হে কবি,এঁকে দিতে পারো এ ছবি?
অভুক্ত শিশুর খাদ্যনালীর শিড়ায় ,প্রবাহিত দাবানল
দিতে পারো তুমি মেঘ ভেঙ্গে কিছু জল।