সাগর,সাগর ,ঢেউ,ঢেউ,ইচ্ছাগুলি বেসামাল
ক্ষুধার্ত ভিখিরির ইচ্ছাতেও দিও নুন,ঝাল।
বাড়ি তাড়ানো বুড়ির ছেলের সব স্মৃতি
আজ মুছে নাও হে বৈশাখ করে আবৃতি।
অবহেলিত,অনিচ্ছার সব শিশু তোমাতে বেমানান
এ বছর তাদের মুখেই মুখরিত হোক বৈশাখী জয়গান।
সব কচিকাচার দল তোমারে একই ভাবে চিনুক
উর্বরতা ঝলসে উঠুক,মুক্তা পোষে অস্থির ঝিনুক।
এ বছর বাতাস পাক ,জল পাক তাত লাগা পাট চারা
রাঙিয়ে তোল শ্মশান ঘাট অপমৃত্যু ছাড়া।
হে বৈশাখ এসো আজ নদীতিরে,তালগাছের ধারে
ভাঙা নৌকার খোলে সাজাবো বাসর আলো-আঁধারে।
সাঁওতাল মেয়েটির কোলে এসে ঘুমাও অঘোরে
তোমাকে দেখাব কাঁদাপথ,শামুক চলন কাক ডাকা ভোরে।


হে বৈশাখ তুমি এসো পাড়া গায়ে পতঙ্গের বেশে
জাপটে ধরে ফসলের রেনু ছড়াও বিদেশে।
জীবন চৌরাস্তায় ভাঙো অবৈধ প্রেমের ভান্ড
চারিদিকে ছড়াক,আঙ্গুল উঠুক,হোক কানাকানি দুদন্ড।
তবু তুমি এসো হে বৈশাখ পা ,বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে
নুন,আবৃতি,জয়গান হোক চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে।