(পর্ব- ১' এর পর )


আমি যে তোমাকে চাই তা তুমি জানো
আর জানো বলেই হয়তো দেখো চোরা চোখে ;
আজকাল সাহস বাড়ছে দেখছি
কিন্তু কর্মে তার প্রকাশ নেই ।
এইখানে একটা কথা ইয়াদ করিয়ে দিই-
শিলং’এর পাহাড়, পাইন গাছ
এখানে কিছুই তো নেই- আছে একটা ফাঁকা মাঠ
মাঠে নেই গোঠের রাখাল-  আছে শুধু পুরনো ভাঙা-গাড়ি
অথবা লৌহ–দানবের কঙ্কাল ।
অতএব তুমি একটা জায়গা খুঁজো মনে মনে
যেখানে অন্তরের গভীর দেশের কথা
বেরিয়ে আসে অনায়াসে ।
এবার বলি আসল কথাটা, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’-
ইচ্ছা সে কথাটা প্রতিধ্বণিত হয় তোমার হৃদয় মাঝে  ।
আরও একটা কথা- দেখো ভেরি ইমপরটেণ্ট
পত্র পাঠ উত্তর দিও ।
আজ কাল সর্টকাট মেথড চলে-
ডিয়ার কেউ লেখে না,  লেখে ডিআর ;
তুমিও সেই পথ নেবে নিশ্চয়-
গদ্য-পদ্য উভয় জাতীয় ভোজ্য দিও
যা কবিগুরু'র নেমন্তন্ন-পাত'এও ছিল ;
খিচুড়ি হলে তো আরও ভাল- ফুয়েলটা বাঁচে;
তবে ইলু-টিলুর মতো কোউড অয়ার্ড দিয়ে
মগজের ঘিলু খাওয়ার চেষ্টা করো না ।
পুরো অর্থটা দিও- কারণ সহজ কথা সহজে
বলার  প্রয়াসটা থাকা ভালো ।


অনেক সময় জীবের মন ভরে, উদর ভরলেই
তুমি কিন্তু রাঁধা-বাড়া কমই জানবে-
সুন্দরী মেয়ে তো- এ কাজে কিছুটা অপটু হবে ;
আমি না হয় এ অংশটা ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিলাম।''


এসব পড়ে তুমি হাসছো- এ নিয়েও কবিতা  !
বেশী বেশী বাড়াবাড়ি, দুষ্টুমি অত্যুক্তি !
তবে রাগ করো না, তোমাকে আর বিরক্ত করবো না
বলছি না কোন বিদেশী গাড়ি নিয়ে এসো-
খালি হাতেই এসো না  সোজা-


সুন্দর হাতের আঙুল গুলো তো রয়েছে-


শাখা-পথ যদি হাতের কাছে-
তবে, হৃদয়-পুর'ই বা আর কত দূর !  


(রচনাকালঃ ১৫-০৫-১৯৯৫।)
© পিসিএস ।






.