একা চলা
-অনুপম ভট্টাচাৰ্য


একটা রাত দিতে পারো আমাকে তোমার কামনার
আগুনে ঝলসে না দিয়ে-- সুমধুর অনুভবের ছোঁয়া
দিয়ে ভরিয়ে দিতে?
থাকবে শুধু ভালোবাসার এক নীরব অনুভূতি --?
এমন একটা বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যা আমায় দেবে-?
যে সন্ধ্যায় তোমার স্পর্শে থাকবে শুধু নিবিড় অনুরাগ -- তোমার উষ্ণ ঠোঁটের ছোঁয়ায় আমাকে তোমার কাছে নিয়ে আসবে--
একটি বসন্ত সন্ধ্যার দখিনা বাতাসের দোলায় আমরা দুজন--
একটি শিউলির গন্ধ ভরা শরত সকাল--
পারবে না দিতে?
খুব কি বেশি চেয়ে ফেললাম?
স্বপ্নে আঁকা ফুলশয্যার প্রথম রাতই কত নারীর জীবনের স্বপ্নগুলো ভেঙে চুরমার হয়ে যায়--
পারো না কি ভালোবাসার বাহুডোরে তার স্বপ্নগুলো রাঙিয়ে তুলতে?
তুমি বলবে পুরুষরা কি পায়না ভালোবাসার প্রত্যাখ্যান?
হ্যাঁ নিশ্চয়ই পায়-- তারা নীরবে দূরত্ব  বজায় রেখে নিজের সত্তাকে বাঁচিয়ে রাখে-- কেউ বা স্বামীত্বের জোর খাটিয়ে পৌরুষের পরিচয় দেয়--
কিন্তু নারী যে বড়ো অসহায় -- রাতের পর রাত তাদের দগ্ধে যেতে  হয় ভালোবাসাহীন স্বামীর নির্মম কামনার আগুনে --।
এর কোন প্রতিকার খুঁজে পায় না--
আজও মূর্খ নারী ভয় পায় সমাজকে --
ভায় পায় বাবা মায়ের সম্মানকে--
ঘর ছাড়া মেয়েদের বাবা মাকে আজও দিতে হয় উত্তর -- কি এমন হয়েছিল যে? একেবারে ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে আসতে হল?
অনেক আধুনিকতার মধ্যেও আজও পরাধীনতা লুকিয়ে আছে-- সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ---
তাই তো নারী লুকিয়ে রাখতে জানে হাসির আড়ালে গোপন কান্নাকে--
আঁচলে ঢেকে রাখে স্বামীর ভালোবাসার চিহ্নগুলোকে--।
নারীর মধ্যেই লুকিয়ে আছে মা দূর্গার তেজস্বী রূপ--
তাই নারী এবার প্রতিবাদী হয়ে ওঠার সময় এসেছে-
মিথ্যে সমাজের ভয় মেরে ফেলনা নিজের অস্তিত্বকে-- নিজের স্বপ্নগুলোকে গলা টিপে মেরে ফেলে ঘরের ভালো বউ হওয়ার সাধ মিটিয়ে ফেলে  স্বাবলম্বী হয়ে উঠে নিজের মুক্তির পথ নিজেই খুলে দাও--
মনে কর রবীন্দ্রনাথের সেই গান--" যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে"---।।