বনলতা নওগো তুমি,একটি গোলাপ কুঁড়ি।
নির্ভেজাল-নিষ্কলঙ্ক-অনঘ মোর প্রথমা নারী।
আঁধারের জ্যোতির্ময়ী, রতিকান্তের মন-মোহিনী
কনকলতার কনক তুমি,হীরে পান্না চুনী।


দেখেছিনু যবে তোমা প্রথম বারে
অপূর্ব অনুভূতি সঞ্চারিত হৃদ মাঝারে।
অজানারে জানিবার আশে, মন ভাসে---
ঢেউ খেলে যায় প্রেম দরিয়ায়-শ্রাবণ মাসে।।


তব পথ-চলা যেন নূপুরের ধ্বনি
সুমধুর গান শুনি, হৃদয় সম্মোহিনী।
তব চপল চাহনি, বিঁধিল অন্তরখানি---
মরমিয়া করে হিয়া,অনুকম্পার জাগরণী।


কুন্তল তব সাজায়েছিলে মালতী ফুলে
মেহন্দি’র পুষ্পরেণু ফুটাইলে যে করতলে
কালবৈশাখী নওগো তুমি, শ্রাবণের বারিধারা
শীত সকালের দিনমণি,সাগর আহরিত মুক্তোছড়া।


লক্ষ্মীবন্ত বদন তব,অপরূপ মুখের হাসি
যেন জ্যোৎস্নালোকিত, ষোলকলায় পূর্ণশশী।
বনলতা নওগো তুমি, মধুরিমার মাধুরী
তব সন্ধানে পথ চলি, হে মোর প্রেয়সী।


নক্সি কাঁথার সাজু তুমি, জয়ের পাগলী
চন্ডীদাসের রজকিনী, শাহজাহানের মমতাজ
নয়নের নয়ন মণি,অন্তরের বনমালী
তোমা বিবাগী হই আমি,বাজে বিষাণ আওয়াজ।