সুবিশাল পৃথিবীতে আমার অস্তিত্ব খুঁজে
পাবে নাক তুমি,
যদি চাও আমাকে,আসতে হবে তোমাকে, দূরে
এই নিষিদ্ধ নগরী।


যেখানে দোপায়ী "বাবুরা" দিনের আলোতে
আসতে ভীত।
রাতের চাঁদনী আলো যেখানে করছে মনকাড়া  
আলোকিত।


ঘুমন্ত পৃথিবীর রসিক নাগররা জেগে ওঠে
মদিরার নেশায়——
ছিপকালো অন্ধকারের নীচে হারায়ে যায়,
আমার লালসায়——
দশ আঙুলের কর্মব্যস্ততায়, জেগে ওঠে
স্বপ্ন নগরীর প্রকোষ্ঠ।
দেহতে দেহ রেখে, সজোরে চেপে ধরে,
আমার রসভরা চার ওষ্ঠ!


ক্ষণকালের অগ্নিসম উত্তেজনা, করে
কত নানারকম বায়না।
আমায় নাকি কিনে দেবে তারা সুন্দর সুন্দর
হীরকখচিত গয়না!
যদি আমি ওদের কথামতো কাজ করে যাই,
না করি কোন মানা!


জানি আমি, কখ্যোনো পাবো না ওদের ভালবাসা,
এ শুধু ছলনা।
রাতের টানে ওরা একটি জিনিস খুঁজতে আসে,
খুঁজে পায় আমার দেহে।
রাতের নেশা কেটে গেলে, চলে মন্থর গতিতে
হেলে দুলে নিজ গৃহে।
কিন্তু মনে যে  আর সয়না, দেহ কি কিছুই
চায় কিনা, নেই জানা।


বয়সের ভারে শরীরটা নেতিয়ে পড়েছে ধীরে,
চামড়ায় কালছিটা
আর আমার নেইতো বাসনা, চাইনা হতে
মেরী কিম্বা অহল্যা।


একটাই চাওয়া, শেষ বেলা মেলে যেন
বৈকুন্ঠে যাওয়ার ভেলা।
এই জীবনে কী পেলাম, পরজন্মে পাইনা যেন
মানুষের অবহেলা!
অট্টলিকা জুটুকবা না জুটুক কোন দুঃখ নাই,
শান্তির কুটীরটুকুন যেন পাই!!