হে চিরসুন্দর, বিশ্ব কারিগর
কেমনে রচিয়াছ এ ভব সংসার?
কোন মধুর ক্ণায় ভরিলে অম্বর?
স্নিগ্ধ চাঁদনী,প্রদীপ্ত সূর্য প্রখর
জীবন বৃক্ষ রোপিলে বিশ্ব চরাচর।


হে চিরসুন্দর, বিশ্বের আদিনর
অপূর্ব মিশ্রণে মিলি আলো অন্ধকার
গগন মাঝে নির্লিপ্তে করিছে বিহার
তব অঙ্গুলিহিলনে ঘুরন্ত ধরা নিরন্তর।


ফুলসুধা আনিবার তর,ছুটিছে মধুকর।
সুখতে দুঃখ মিলি হইল একাকার
জড়াইল পরস্পর, সারাটি জীবন ভর।
কান্না-হাসি কী মিলবন্ধনে, রচে বিচিত্র সম্ভার
এ ধরনী'পর। কিরূপে সৃষ্ট তব লীলার বাহার?


হে চিরসুন্দর, বিশ্বপিতা জগদীশ্বর
প্রাণভরা সমীরণ তব বহিছে পৃথ্বীতে অনিবার
শীতল হইল মানব বক্ষ:,উথলি উঠি অন্তঃরীক্ষ
গাহে তব গীত,মানব-দেবতা-অসুর বারংবার।
মম নয়ন সলিলে পূজি তোমা শতকোটিবার।


হে চিরসুন্দর, বিশ্ব কারিগর
হেরিনু ক্ষোভ-জ্বালা-মনস্তাপ শ্রীচরণে তোমার
যাহা কিছু ছিল ললাট লিখনে, পাই তব দানে
না পাওয়ার অভিলাষে, সান্ধ্য বীণায় বাজে ঝংকার
ধৌত করো মনের মলিনতা, দূরীভূত  করো সব অহংকার
হে চিরসুন্দর, বিশ্ব কারিগর।