আমি সপ্নের মায়াবি ছবি ত্রঁকে যাই,
শুধু তোমার মুখপানে চেয়ে—
তুম অনন্ত বৈশাখী ঝড়,
তুমি শ্রাবনের বৃস্টি মুখরিত মুসলধারা,
বেণু বনে আজ শুনেছি তোমার কণ্ঠধ্বণি
মন মুখরিত চেয়ে অমৃত তোমার করুন বাণী৷
দ্বীপ্ত প্রভা প্রজ্জলিত তোমার উজ্জল আভা
বনমালা পরিবেস্টিত সৈম্যকান্তি প্রভা৷
গাহিছ প্রেম সংলাপ,নিমগ্ন নৃত্য তালে—,
তুমি কে গো সুন্দরী প্রিয়া; কে তুমি,কে তুমি?
বসন্তের বনলতায় ফুটেছে ওই যে পুস্প সারি,—
তোমার গলায় নিয়েছ যে মালা,সে যে প্রেম তারি!
শুধু গেঁথেছ মলা,ফুটিয়ে ছিল ফুলকলি—সে যে বসন্ত৷
আজ ভুলেছ তারে,শুধু চেয়েছ তার গন্ধ,গৌরব অনন্ত'৷
দেখনি তাহার মন ছুয়ে, সে কি চায়?— ওগো তোমার কাছে;
চির অনিদ্রা,চির অনাহুত হয়ে রহিয়াছে তোমার মাঝে৷
চিরকাল ধরে খুঁজিছে তোমায় নিভ্ ত অন্ধকারে—
ওগো আন্ধারের পথে আলেয়ার মায়া দেখাও কেন যে তারে?
যদি বসন্তের ডাকে না ফোটে পলাশ,
তবে কোন সে হ্রদয় মন্জিরে রহিবে প্রেম আস?
নৃসংশ,প্রেমহীন মুখোশের আড়ালে রয়েছ মৌন প্রিয়া,
বুকের পাঁজর কোলে অজ্ঞাত স্রোতে ভেসেছে ব্যার্থ হিয়া৷
বিহগীর অপমান সঞ্চিত অভিমান সারা'
নয়ন কোনে ঝরিতেছে অবিরাম অশ্রুধারা৷
তব স্মৃতির চরনে বিরহের ঝরা ফুলকলি দিয়ে পুপ্শাজ্ঞলি—,
উজাড় করা উদাসীন শশি রয়েছে ত্রকা নিদ্রিত আজ,
তমশায় নিবিড় নিরবতা শুধু ত্রঁকে যায় সপ্নের ছবি,
ভালোবেসে তাই ভুল বুঝে যায় তোমার উদাসী কবি৷৷