ছিল এক অচেনা ছেলে
যে হারিয়ে গেছে জন্মের পরেই
পেলনা আদর স্নেহ রাস্তার ফুটপাতে ৷
মা বলা ডাক, সে ডাকেনি কোনদিন,
ছুটেছে শুধু বেকারীর পেছনে
দু'টুকরো রুটির খোঁজে নিয়েছে ভিক্ষার আশ্রয় ৷
চায়ের দোকানের গরম জলে
কত ফোসকা পড়েছে কচি চামড়ায়,
কিন্তু তাকে কাঁদতে দেখেনি কেউই
যে ভালোবাসা পেয়েছে কোনদিন
সেই শুধু কাঁদে ভালোবাসা পাওয়ার আশায় ৷
জীর্ণ, শীর্ণ শরীরে গাছের তলায় শুয়ে
সে শুধু স্বপ্ন দেখে দু'মুঠো খাবারের
একদিন কয়েকটা কুকুর এসে তাকে ঘেরাও করে
আর উপায় নেই, ভয়ে কাঁপছে সে
স্কুলের ফেরার পথে কয়েকটি ছেলে তাকে বাঁচাল
বলল বাড়ি যা, এখানে কী ?
তখন হয়ত সে বাড়ি কথাটি প্রথম শুনলো
কাকেই বা জিঞ্জেস করবে, "বাড়ি মানে কি"?
রয়ে গেল নির্বাক, হতবম্মের মত তাকিয়ে আছে সে,
যদিও বাড়ি বলতে বোঝে, স্কুলের বারান্দা
নয় তো বা বন্ধ দোকানের ছাঁচ কোলে ৷
এমনই করে চলছিল তার জীবনের সাদা-কালো দিনগুলি !
হয়ত বিধাতা একদিন শুনেছিল তার কান্না
তাই রাখল না আর তাকে পৃথিবীতে
দিনের শেষ ভাগে সেই গোধূলীর অপেক্ষায়
পরে জানা গেল, ছেলেটি এক কুমারীর সন্তান
তার জন্মের আগেই মা ছিল পাগল
কতগুলি দুস্কৃতির অপমানে
সেই পাগলীনি পেয়েছিল মাতৃত্ব ৷৷