# প্রেম অতো সস্তা নয় আমার #(অনুরাধা চক্রবর্ত্তী)


কানাঘুষো কথাটা ঘুরতে ঘুরতে  কানে এলো আমার,
উচ্চবর্ণের পুরুষ, তুমি নাকি প্রেমে পড়েছ আমার।
সত্যি কথা বলতে কি,শুনে প্রথমে আমি বাকরুদ্ধ,
কারণ খুঁজে ভাবলাম তুমি হয়তো হয়েছো আমার কন্ঠে  মুগ্ধ।
আমার বিপদ আমার আপদ, একা সামলানো মেয়ে,
পরকীয়া, তোমার সাথে? মাঝ জীবনে গিয়ে?


তোমার কাজে ডাকলে আমায়, বললে করবে অনুস্ঠান,
ছুটে গেছি লোক জোটাতে, সেদিন রবীন্দ্র সদন।
পাত্র মিত্র জুটিয়ে দিলাম, অনেক সহচর,
কাজ ছাড়া কোনোদিনও হয়নি তোমার গোচর।


এরপর হল বুকিং, ডাক পড়েছে আবার,
বড় বাজার থানার সামনে, অপেক্ষায় দিন কাবার।
অনুষ্ঠানে কাজ করেছি, পাশে দাদা রাধেশ্যাম,
বাংগো করে তোমরা ওকে বলো ঘনশ্যাম।


তুমি ভীষণ ব্যস্ত মানুষ, সম্ভবত অফিসের দাদা,
তুমি নাকি সদন আসবে, অকারণ সময় গেলো, সঙ্গে স্বপন দা।
বরাবরই খুব সিরিয়াস, জেদী আমি কাজে,
সময় নষ্ট ছেড়েছি, ফালতু লোকের কাজে।
বই প্রকাশে লোন করেছি, বন্ধুরা সব কই?
বইমেলাতে ঠাঁই পেয়েছে, অনুরাধার বই।
প্রি-বুকিং এর আবেদনে, ফেস বুকেতে পোস্ট,
হোয়াটসঅ্যাপে কমেন্ট করলে, জাস্ট লাইকএ ঘোসট।
এগিয়ে এলেন অনেক বন্ধু, এক প্রকাশকও এলেন,
স্বার্থপরদের চক্রান্ত উড়িয়ে দিয়ে, দ্বিতীয় বই প্রকাশ করলেন।
তুমিও গেলে খবর নিতে, সত্যিই স্টলে অনুরাধার বই?
না থাকলে বাঙ্গো করার এমন সুযোগ, আর কই।
সকল খেলা পণ্ড যখন, এবার এলে বাংলা কবিতার দলে,
অনুরাধাকে হেনস্থা করবে, ছলে বলে কৌশলে।
আরও আছেন তোমার পাশে, সেটাও আমার জানা,
বন্ধুদের অনুরোধে, সেটা বলা  আজ মানা।
এবার এসব স্বভাব ছাড়ো, ওহে দিকগজ বাচিক শিল্পী,
নয়তো তোমার বাড়িতে গিয়েই, কাটবো তোমার ঝুলপি।
আমার প্রকাশ, আমার কবিতা রুদ্ধ করার ছল
ঘরেই রাখো কুলীন তুমি, প্রেমের রসের ঢল।
ওতো নয়কো সহজ, মেয়েদের বলে দেবে মন্দ??
বউয়ের হাতে ঝাঁটা খেলেই, নোংরামি হবে বন্ধ।
দা -কুঠারী আগুন জ্বেলে তৈরি করে কামার,
ভাগরে কুলীন, বদলেছে যুগ, অতো সস্তা নয় প্রেম আমার।।