আমি খুঁজে ফিরি নিবিড় নিজেকে নিজে
আমি খুঁজে ফিরি বসন্ত দিন শীতে।
শরতে অধীর আমি শ্রাবণের মেঘে!
ভাটায় ভাটায় ভেসে যাই জোয়ার ভেবে।
আধো রাতে কেনো যে শুনি ভোরের গান?
বেলা অবেলায় কেনো চাই কলতান?
পঙ্কিল পথে হেঁটেছি নীরবে একা,
রপ্ত হয়নি আজো প্রতিবাদী ভাষা!
তরলের মতো যেকোনো পাত্রে থাকা,
জমে জঞ্জাল সেই থাকা না থাকায়।
হিংসুক নই তাই হিংসাকে ভয়,
নিন্দুক নই তাই নিন্দাকে ভয়,
আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়ানো শঙ্কা ভয়,
এই শৃঙ্খল ছেঁড়ার প্রখর তেজ,
আজকে নয়তো, কাল হোক সঞ্চয়।
যত উঁচু গিরি ততটা গভীর খাদ,
ভাগাড়ে হয়না ফল-ফুলের আবাদ,
সাহস স্পর্ধা হোক ফসল বোনার।
পাথর প্রাচীরে নেই মাটির গন্ধ,
খোলা দ্বার কারা যেনো করেছে বন্ধ।
আমি ফুল আর মাটির গন্ধ খুঁজি,
লক্ষ অযুত স্বপ্নের পোতাশ্রয়ে,
দেখুক স্বপ্ন কেউ তবু নিয়ে নয়া পুঁজি।