ফোনটা ধরলে,
তোমায় মনে পরে৷
দিতে মন চায়,
মেসেজ কিংবা কল৷


যখনই কল দিবো,
মোবাইল হাতে নিবো,
মন হলো তুমি ব্যস্ত,
দিবো কলটা কাল৷


আছো তুমি খুশি,
তোমায় ভালোবাসি৷
তুমি ভালো আছো,
এটাই যে সম্বল৷


তোমারই ফোন কলে,
এখন আর না, ঘুম ভাঙ্গে৷
সকাল আমার হয় যে বারটায়৷


হায় হায়, হায় হায় হায়৷
মনে পরছে না, যে তোমায়৷
কত বদলে গেছি
এই আমিটায়৷


তোমার জন্য,
ম্যাসেঞ্জারে অপেক্ষা৷
কখন তুমি দিবা,
'গুড মর্নিং' ম্যাসেজটা৷


হঠাৎ করে শেষ হয়ে গেছে,
মোবাইলের ডাটাটা৷
আমি হয়ে গেছিলাম,
পাগলপারা৷


তরিঘরি করে,
গেলাম আমি দৌড়ে৷
গিয়ে দেখি,
খুলে নাই দোকানটা৷


হায় হায়, হায় হায় হায়৷
থাকতে পারছিনা অপেক্ষায়৷
খুললো দোকান, সকালের নয়টায়৷


এখন আর হয় না,
এসব কিছু৷
অপেক্ষায় নাই,
তোমার মোবাইল কলের পিছু৷


ম্যাসেঞ্জারটা খুলে,
দেখি সবুজ বাতি জ্বলে৷
লিখেও ডিলেট করি যে মেসেজ৷
আটটি বছর হয়ে গেলো শেষ৷


অনেক সাহস করে,
আজ আটটি বছর পরে৷
হঠাৎ আজ কল দিলাম তোমায়৷


ছোট্ট একটি মেয়ে ধরে,
বললো মা নেই বাড়িতে৷
বলুন কী বলতে হবে যে তাহায়?


কণ্ঠটা শুনে,
আমি রইলাম স্তব্ধ হয়ে৷
এ যে তোমার কণ্ঠেরই,
আরেক ফটোকপি৷


হায় হায় হায়,
আমি কী শুনছি কানটায়!
কিছুক্ষণের জন্য নির্বাক আমি৷


বললাম ওগো খুকি,
তোমার নামটা কী?
কোন শ্রেণিতে পড়ছো যে তুমি!


বললো হেসে হেসে,
আমি যে সুমি৷
পরের কথা গুলো আর শুনিনি৷
নাম শুনেই আবার, অবাক আমি৷


সুমির মা বলে তোমায়,
কত ডেকেছি৷
আজকে কথা বলছে,
তোমার সেই সুমি৷


যত অভিযোগ ছিলো এই মনে,
সবই নিলাম তুলে৷
ভালো থেকো, ভালো থেকো,
ওগো সুমির মা৷


শুভ জন্মদিন
তোমায় আর জানানো হলো না৷