এই নিঝুম অন্ধকারাচ্ছন্ন কলো রাত্রিতে
তন্দ্রা অবস্থায় শোয়া,
ঘুম নেই আমার চর্মকার চক্ষুতে।
আমার অন্তঃস্থল মাঝে আজ স্বপ্নচারিনী
আমি ভাবছি তাঁকে নিয়ে একান্ত হিয়া কোণে।


কতদিন ছুটে যে ছিলাম তাহার পেছন লগ্নে
একবারও পাইনি দেখা,
সে যে এক অমূল্য রত্ন তবে।
হাত বাড়িয়ে দিয়েছি তাঁকে ছোঁয়ে দেখবো বলে
আমার চর্মকার চক্ষু দ্বারা অন্তর নিহিত করে।


ছোঁয়া হলো তাঁকে
দেখা যে হলো না আমার চক্ষু দ্বারা,
সে তো ছিলো এক কালো মরীচিকার ন্যায়।
সে তো ছিলো মরুভূমির উত্তপ্ত বালুর ন্যায়
যার দহনক্রিয়া আমাকে করেছে জ্বালাতন।


আমি উদ্যোগী হয়েও আজ যেন খর্বকার পথিক
পেলাম না দেখা বলা হলো না কথা।
তাই তো আজ এই অন্ধকারাচ্ছন্ন কালো রাত্রিতে
মনে পড়েছে তাঁকে যে আমাকে বিমোহিত করেছিল।


তাঁর অপলক হরিণী দৃষ্টি আমাকে করেছিল পাগল
তাঁর মুক্তার ন্যায় দন্তের হাসি,
ঠোঁটের এক কোণে লেগেই থাকত অনবরত,
যা আমাকে করে এখনো বিমোহিত।


তাঁর চলার পথে পায়েলের সেই শব্দের ঝলকানি
আজও আমার কানে বাজে নিঃশব্দ এই রজনীতে।
ভুলতে পারি না তাঁকে
তাইতো রেখেছি তাঁকে আমারও বুকের মাঝে,
অফুরন্ত ভালোবাসা দিয়ে।
এই নিঝুম রজনীতে,
সেই স্বপ্নচারিনী আছে আমার স্মৃতির এলবামে।