ঐ যে শঙ্খ চিল উড়ছে গগনে
নিজ আপন মনে স্বাধীন ভাবে,
পরাধীনতার কোন গ্লানি নেই ওর মনে
মুক্ত মনে উড়ছে যেন নীলাঞ্জনা।


ঐ যে মাঝি গাইছে ভাটিয়ালি গান
মুক্ত কণ্ঠে,
গানের সুর অবলোকন করছে
নদীর দুই কুলে থাকা কাঁশবনে।


ঐ যে আমাদের ছোট্ট নদী
চলে গেছে আঁকাবাঁকা ঐ তেপান্তরে,
স্রোতের টানে ঢেউয়ের তালে তালে
তরী চলে আঁকাবাঁকা নদী বেয়ে।


ঐ যে পাখি গাইছে গান মধুর সুরে
বট বৃক্ষের মগডালে বসে,
নিজ আপন মনে স্বাধীন ভাবে
প্রকৃতি যেন করছে খেলা নৃত্যের তালে তালে।


ঐ যে কৃষক যাচ্ছে মাঠে
লাঙল কাধে করে এক জোড়া গরু নিয়ে,
চৈত্রের এই সাজ সকালে
মনের আনন্দে যাচ্ছে নিজ কর্মক্ষেত্রে।


ঐ যে আমার মা করছে কাজ
বাড়ির উঠোনে বসে,
পাশে বসে ছোট্ট বোনটি করছে খেলা
মা করে যাচ্ছে কাজ নিজ আপন মনে।


ঐ যে আমাদের ছোট্ট ফুল বাগান
উঠোনের এক পাশে ঘরের কোণে,
এতে আছে বেলি,জুই,জবা,আছে সন্ধ্যা মালতি
সন্ধ্যার পর যখন পড়তে বসি আসে ফুলের ঘ্রাণ।


এই যে আমার ছোট্ট গ্রাম
ভালোবাসা এতে অবিরাম,
আমার গ্রাম আমার মায়ের মতো
আগলে রাখে আমায় ভালোবাসা দিয়ে অবিরত।