কখন যে নিঃসঙ্গ চরমভাবে
আলিঙ্গন করে,
দেহের সর্বাঙ্গে মিশে গেছে
তাও বুঝতে পারিনি।
ছাদের এক কোণায় বসে
নিঃসঙ্গতার অনুভূতি জাগ্রত মনে,
আঁড় চোখে দেখছি আকাশের চাঁদ।
মন চায় মেঘের ভেলায় ভেসে যাই
অজানা পথে।
ঐ আকাশে ভাসমান অজস্র তাঁরাগুলো
তাঁকিয়ে আছে আমার দিকে।
আজ যেন,
বৃষ্টির অশ্রুধারা জল ছবি আঁকছে দু'নয়নে।
আমি কি জানতাম?
এই শ্রাবণো জোৎস্নায়
তাঁর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
আমার নিঃসঙ্গ প্রাণটির কথা কে না জানে?
অথচ তাঁর তো কিছুই অজানা নয়।
কেন বুঝে না সে?
এই বিশ্ব সংসারে,ছোট্ট এই ছাদের কোণে
আজও তাঁর অপেক্ষায় বসে থাকি।
প্রতীক্ষার পর প্রতীক্ষা
শ্রাবণের পর শ্রাবণ চলে যায়,
তবুও পাইনা তাঁর দেখা।
এই স্নিগ্ধ চাঁদের আলোর বিপরীতে
নিঃসঙ্গ আমার জীবনটা।