কোথায় যাও হামিদুল?এই পড়ন্ত বিকেলে
মুখটা তোমার মলিন,
কি হয়েছে? বলে যাও আমাকে।
মুখ থেকে তাহার কথা বের হয় না
জলে টলটল নয়ন দু'খানা,
আমার কথা শুনিয়া
আসমানের দিকে তাঁকিয়া ছাড়ে দীর্ঘশ্বাস।
বলে, তাহলে শুনো ভাই
কাশেম আলী মহাজন আসিয়া
নিয়া গেছে,
আমার একমাত্র উপার্জনের গাভী খানা।
কোন কাশেম আলী?
হামিদুল কাঁদিয়া কাঁদিয়া বলে
সুদ খোর কাশেম আলী।
কি করেছো তুমি?
এই বলিয়া দাঁড়িয়া থাকি আমি।
হামিদুল কাঁদিয়া কাঁদিয়া বলিতে থাকে
এই তো কিছুদিন আগে,
সুদে নিয়াছিলাম কিছু অর্থকরী
যথা সময়ে তাঁর সুদ পরিশোধ করতে পারিনি।
বলা নেই,কয়া নেই
হঠাৎ আমার বাড়ি আসিয়া
নিয়া গেছে আমার অবলম্বনের একমাত্র গাভী খানা।
এই বলিয়া হামিদুল
কাঁদিতে থাকে,
নয়ন দিয়া গড়িয়ে পড়তে থাকে বারি,
অতঃপর চলার পথে হাটা দিলো হামিদুল।
বুক ভরা চাপা কষ্ট নিয়ে
ছাড়ি আমি দীর্ঘশ্বাস,
আমিও তাঁকিয়ে থাকি ওর চলার পথ চেয়ে,
বিরবির করে বলতে থাকি
সমাজ থেকে কবে দূর হবে এসব মহাজনী কারবারি।