অফিসফেরত পাড়ার মোড়ে
মেইন রোডে গাড়ীটা সবে সাইড করে
নামতে যাব  
সিগারেট নেবো বলে।
হঠাৎ কারেন্টা গেলো চলে।
নামতে যাব
কানে এলো কথাগুলো।
“একটু ভিক্ষা দেবেন”
বুঝলাম কোনো ভিক্ষুকই হবেন।
গাড়ীর ঐ দিকের জানলায়
ঠিকই এক ভিক্ষুক দাঁড়িয়ে।
অন্ধকারে অস্পষ্ট অবয়ব।
তবু বোঝা যায়
আজ তাঁর সবকিছু গিয়েছে হারিয়ে।
ঈশ্বরের কল্যাণে
আজ আমার সবকিছু  আছে।
তাই ফেরাই না কাউকে।
আর সবিনয়ে জানিয়ে রাখি
নিয়ম করে
সপ্তাহে একদিন
পৌঁছই সর্বহারাদের কাছে।
কি বলেন
দায়িত্ব তো আমারও আছে।
সচেতন আমিও
অমানুষ কেউ বলে যদি পাছে।
নিয়মমাফিক বললাম
কি চান বলুন ? কত?
লজ্জা করবেন না
কত হলে চলবে আপাতত?
উত্তর এলো
“আপাতত নয় চলে যাবে
এই জীবনের মত
আমার এ ভিক্ষার ঝুলি তারই অপেক্ষারত  ।
ঢেলে দাও তবে
কার্পণ্য  কোরো না কিন্তু আর,
ভিক্ষা তোমার এইবার শেষবার,
ঢেলে দাও তুমি তোমার অহংকার ”।
আবার হঠাৎই কারেন্টা এসে গেলো
দেখি কেউ কোত্থাও নেই।
একটা বাস পাস করে গেলো
যার পিছনে লেখা
“হে বিবেক জাগ্রত  হও”।