অষ্টাদশী কন্যার পিতা চিন্তিত
চারপাশে সন্ধান করতে হবে পাত্রস্হ


ঘরের গোল টেবিলে প্রথম সাক্ষাৎ
পাত্রের মা প্রশ্ন করে মা রান্না জানো
কই দেখি একটু হেটে এসো
চুলের খোপাটি খুলে দেখাও তো মা


পাত্রের বাবা বলেন ছাড়ো ওসব ছেদো কথা
হে হে বেয়াই মশাই শুনেছি সরকারী চাকরী আপনার
কিছুই চাইনা ছেলে আমার করে ভালো রোজগার
তবে ঘরখানি সাজিয়ে দেবেন
ভরি কুড়ি সোনা দিয়ে মেয়েকে সাজাবেন
পাত্র মিটমিটিয়ে খুটিয়ে নজর বোলায় কন্যার তনুময়
পাত্রি লজ্জানত
পাকা কথা হয়ে গেল
আহা কি আনন্দ
বাবা হলেন কন্যাদায়মুক্ত


কন্যা ভাবে এই আমার অদৃষ্ট
ফুলসজ্জায় দু চারখানা টুকরো কথা ভয়ে জরপদার্থ
অজানা অচেনা শরীরকে বিলিয়ে দিতে হল সমস্ত লজ্জা
বিনিময়ে আজীবন ভাত কাপড় আশ্রয় সজ্জা
শুরু হয় এক বিনিময় প্রথা
এরই নাম সুখী পরিবার সুখে থাকা


সন্ধা নামে শহর কলকাতা আলোয় সুসজ্জিতা
সুসজ্জিত দাড়িয়ে থাকা সার সার ললনা
চোখে ইঙ্গিত ঠোঁটে অকারণ হাসি
সেই পাত্র দর কষে ঘন্টা কত প্রতি
বারবধু কহে ৫০০০ দিতে হবে


পাত্র আতঁকে উঠে বলে সেকি কথা
এতে তো আমার চলে ৩০ দিনের বিনিময় প্রথা
চলে কিছুটা সময় দর কষাকষি
বারাঙ্গনা হাসে দম ফাটানো হাসি
এইভাবে ওরাও থাকে খুশি


চলতে থাকে বিনিময়প্রথা
তফাৎ একটাই
ওরা বিনিময়ে নেয় টাকা
কন্যার পিতা দেয় কন্যাসহ টাকা