চোখ খুলেই অভ্যাসের হাত বাড়ায় অনন্ত
নাহ্ চা টা নেই পাশ টেবিলে
অজান্তে মুখ থেকে বের হয় শালা
সকালের চা টাও অন্যের কুক্ষিগত
সেবার নামে শিশু বানিয়ে রাখলে


এরিকা বাজারের ব্যাগ দিল ধরিয়ে
দরকারি তালিকা হাতে গুঁজে
মনে মনে বলে গেল এইটুকুই সুতো
বিনা পয়সার রাধুঁনীর আর কি বা আছে
স্ত্রীর নামে দাসী বানিয়ে রাখলে


স্নান সেরে মুখে অখাদ্য ঠেলে
অনন্ত পা বাড়ায় অফিসের পথে
কেয়া বসে আছে কফি হাউসে
দু কাপ কফির অর্ডার
পায়ে পা ঘষে, হাতে হাত
দাম্পত্যের পিন্ডি চটকে
দু-দন্ড হাঁফ ছেড়ে বাঁচা


কলম ঘষে দিনের শেষে
খাঁচার ফিরে ফের শিশু বনে যাওয়া
এরিকা বেলনী হাতে
কফি তে চিরতা ঢেলে
তাকায় জিজ্ঞাশ্য চোখে


অনন্ত মনে মনে হাতরায়
ধরা পড়ে যাওয়াকে আটকায়
চিৎকার করে বলে ওঠে
টিকটিকি গিরি এবার থামাও
এরিকা বলে এবার কফি খাও


স্বামীকে ধরে রাখতে
আষ্ঠে-পিষ্ঠে বাধেঁ এরিকা
মুড়ে দেয় মোমের মোড়োকে
বেশী কফি খেলে গরমে যাবে গলে
বাকাঁলে যাবে ভেঙে


সেদিন থেকে অনন্ত
কফি খায় তবে কোল্ড
নয়তো যখন তখন
অনন্ত হতে পারে বোল্ড
এইভাবেই ঝুলে থাকে
দাম্পত্যের বাঁধন