আমি ছিলাম একটা সহজ সংখ্যা,
যাকে দু’য়ে ভাগ করলেই মিলে যেত সমান দুটি ভাগ,
না ছিল দশমিক, না ছিল অতিরিক্ত কিছু—
একটি নিঃশব্দ, নিরীহ হিসেবের মত।
তুমি এলে—
চার বছর এগারো মাস পর,
জীবনের পাতায় এনে দিলে এক নতুন সংখ্যা,
যে সংখ্যার মধ্যে লুকিয়ে ছিলো
"রাগ" নামক এক দশমিক বিন্দু।
তুমি বললে,
"ভাগফল না মিললেও চলবে,
দশমিক থাকুক, হিসেব ঠিক থাকবে!"
তুমি ছিলে শৌখিন,
চেয়েছিলে প্রতিটি মুহূর্তকে দশমিকের মতো ভেঙে
সূক্ষ্মভাবে বুঝতে, হিসেব করতে।
কিন্তু আমি ছিলাম সেই প্রাচীন সংখ্যা,
যার গায়ে দশমিক বসালেই ব্যথা জাগে,
তবুও তোমার ভালোবাসায়, তোমার অঙ্কে
নিজেকে সাজাতে চেয়েছিলাম নতুনভাবে।
তুমি গুণলে, তুমি ভাগ করলে,
তবুও হিসেব মিলল না।
যে সংখ্যাটা তুমি নিয়ে এলে,
তা ছিল এমন—
যাকে আমি ভাগ করতে গেলেই
রয়ে যেত একটা বিরাট ভাগশেষ!
তবু আমি নির্বাক থাকি —
কারণ তুমি তো চেয়েছিলে
ভালোবাসার হিসেবটা পূর্ণ হোক।
বিশটি বছর—
তোমার ২ দিয়ে ভাগ করা দুটি সমান অধ্যায়,
তবে সেই নতুন সংখ্যাটিতে
আমার জায়গা হয়তো ছিল না আর।
আমি এখন রয়ে গেছি—
তোমার অঙ্কপত্রের এক কোণে,
একটা ভুলে যাওয়া সংখ্যা হয়ে,
যার পাশে লাল কালি দিয়ে লেখা—
"ভাগশেষ আছে…"
এখনও রাতে, একা বসে
আমি কাঁদি, গুনে চলি সেই হিসেব,
যেখানে শুধু তুমি, আমি আর
একটা অসমাপ্ত ভাগফল রয়ে গেছে…