কারিগর তারা, সমাজের মূল, হাতে গড়া ভবিষ্যৎ,
তাদেরই আজ অপমান করে, এক নীতিহীন সিদ্ধান্ত।
২৬ হাজার স্বপ্নভঙ্গ, চোখে জ্বলছে নোনাজল,
এই কি তবে ন্যায়ের সুর? বিধানেরই কি এত ছল?
কলম হাতে, বই নিয়ে, যারা গড়তো সভ্যতা,
তাদের ঠেলে দিলো রাস্তায়, হাসে এক নিষ্ঠুরতা।
জ্ঞান ছড়ানো হাতগুলো আজ অন্ধকারে নিঃস্ব,
নীতির নামে চলে ছুরি, শাসকেরই মুখোশপূজ্য।
শিক্ষক মানে তো মা-বাবা, শিক্ষক মানে মাটি,
তাদেরই অপমান করে চলে, রাজনৈতিক ঘাঁটি।
শিক্ষা কি তবে ব্যর্থ আজ? আমরা কি সব ভুলি?
নিয়মের নামে ভেঙে জীবন, ক্ষমতার মুখে ধূলি।
কিছু নিকৃষ্ট হাতে ওঠে লাঠি, বুকের মাঝেই মারে,
যারা লড়ে নীরব চোখে, দাঁড়িয়ে কাঁদায় তারে।
তবু বলি, আমরা গড়ি, বুকের নিচে আগুন রেখে,
আমরা নই কারো দালাল—চলি আমরা ন্যায়ের পক্ষে।
ওহে শাসক, শোনো তবে, শিক্ষা নিয়ে খেলা নয়,
আজ যারা চুপ, কাল তারা দেবে উত্তরের পরিচয়।
শিক্ষক মানে নিঃস্ব নয়, শিক্ষক মানে শক্তি,
তোমাদের এই অন্যায়ের মুখে উঠবে গর্জন শক্তবৃক্তি!
এই রাজ্যে যেখানে “জয় বাংলা” স্লোগানে গর্জে আকাশ,
সেই বাংলায় শিক্ষক কাঁদে—আঘাতে সজ্জিত রক্তরাশ।
তাই বলি, দাঁড়াও পাশে, যদি সত্যে থাকে বিশ্বাস,
তবে শিক্ষক হারা রাজনীতির খেলা কবে থামবে—জানুক সর্বদ্বার।
শিক্ষক মানে শুধু পাঠ নয়, গড়ে তারা স্বপ্ন-পরিচয়,
তাদের অপমান মানেই জাতির বিবেকের ক্ষয়।
তবু আশায় থাকি—আসবে দিন, সুবিচার হবে ফিরে,
যারা আলো জ্বালায়, তারা আর থাকবে না অন্ধকারে।