শুক্রবারগুলো বেশ নির্লিপ্ত ও পীড়নহীন,
চিন্তনে আর সৃজনে বরাবর উন্মত্ত হয়ে উঠি;
শরীরে রবিবারের তাড়া খাওয়া রক্তকনিকার অনবরত উত্তপ্ত ছুটোছুটি;


  আসন্ন পরাক্রান্ত ঐকিক জীবনটার দ্বিতীয় মৃত্যু, স্মরণহীন;
বড্ড একা ক’রে ফেলে, একা হয়ে যাই;
অন্ধের কাছে আর দর্শন শিক্ষালাভ হয়ে ওঠে না...
  
  অপ্রাপ্তির অনির্বাণ যন্ত্রণায় কৈশোর হতে যৌবন,
একা হাতে, অস্থীর পরমায়ূ,
জটীল থেকে জটীলতর পৃথিবীর মানচিত্র এঁকে যায়…


  অকাল পঙ্গুত্ব বরণের প্রাক্কালে এতটুকু বোধোদয়,
সত্যিই কিছু একটা করার দরকার ছিল
এভাবে আর চলছিল না, এখনও চলছে না,
ঋণের বোঝা জীবনকে শিরোনামহীন করে তুলেছিল ক্রমান্বয়ে...


  আর বর্তমানের অনিবার্য সীসাযুক্ত বায়বীয় যুগে
পীচঢালা পথ-তক্তায় অসংখ্য শানিত পেরেকের মিছিল,
স্বাধীনতা আসতে তবুও প্রয়োজনাতীত সময় নিচ্ছে;


  বিশ্বজনের হৃদপিন্ডচেরা রক্ত-বাষ্প সবেমাত্র মেঘ হয়ে আকাশে,
আমি বলে এখন আর কিছু নেই,
মাথার ভেতর ‘আমরা-মাছি’র অসহ্য ভন্ ভন্;


  বুক-শেল্‌ফের দিকে হাত বাড়াই, যতবার অসহায় হয়ে পড়ি,
যদি কোনোভাবে কারো কাছে কোনো সমাধান পাওয়া যায়...
কচ্ কচ্ কচ্ শব্দে ঘরটাকে প্রায় প্রায়ই অনাবাসযোগ্য মনে হয়,


  পোঁকাগুলোকে শেল্‌ফের তক্তা ফেঁড়ে বের করতে মনস্থীর করি;
এ জীবনে ঢোকার পথ হাজারটা, বেরোনোর পথ একটাও নেই...


  কীট-পতঙ্গেরা, শব্দ করতে থাকো, শব্দ করো,
প্রচুর শব্দের প্রয়োজন আজ, সত্যের চেয়েও বেশি;
যেন জীবন-নদে উত্তাল ঢেউ ভাঁঙে আর সাথে ভাঙে কুলও...

  মাথার উপর স্বাধীনতার পতাকা শুধু উড়লেই লাভ নেই...
মাঝে মাঝে জানালার কাঁচে ঢিল-ভাঁঙা আওয়াজ শুনি,


  আজ পূনঃ একত্রিত হবার ডাক এসেছে,
কাপুরুষোচিতভাবে দায় এড়ানোর উপায় থাকলেও ইচ্ছে নেই,
যেতেই হচ্ছে …


উত্তারায়ণঃ


অপরিবর্তনযোগ্য সুকঠিন আন্তঃপ্রাদেশিক সামাজিক দায়বদ্ধতায় এবং প্রাত্যহিক প্রতিযোগিতায় যখন মানবসন্তান শ্বাসরহিত ও দিগ্‌বিভ্রান্ত সেকালেই কখনো-বা কারো কারো প্রাণান্ত উত্তরণের কন্টকাকীর্ণ পথ অনুসন্ধানে, আরো অজস্র প্রাণ এসে প্রযুক্ত হওয়া সম্ভব। তীব্র কোনো এক বা একাধিক শারিরীক কিংবা মানসিক বৈকল্য আমাদের-কে আমৃত্যু জীবন্মৃত হিসেবে, এই সমাজের অনাকাঙ্খিত উপকরণে পরিনত করার পূর্বেই প্রতিরোধযোগ্য। বৃহত্তর ঐকদেশিক স্বার্থে আমাদের কোনো তুচ্ছাতিতুচ্ছ আন্তরিক প্রচেষ্টা কিভাবে কার জীবনের অতীব প্রয়োজনীয় পরিবর্তন বা পরিবর্ধন ঘটাবে সেটা আমাদের ধারনাতীত হয়ে থাকতে পারে। সুতরাং, যেতেই হচ্ছে ... দেওয়ালে পীঠ ঠেকে গেলে কি এবার ভূপাতিত হবো...নাহঃ !