নিথর পান্ডুর কতগুলো মুখোশ,
              ভাঙ্গা আয়নার মত চেয়ে থাকে
ধুলোর কার্পেটে বেদানার
              থকথকে আঠালো রক্ত
কয়েক মুহুর্ত আগের অনিবার্য আর্ত চিৎকারে
              ঘন পেট্রোলের ধোঁয়া নিরেট নিস্তব্ধ
অযত্নে আঁচড়ানো দূর্বাঘাসে
              দেহের চুমু একাকার
অবিন্যস্ত সাহসী নিহত অসংখ্য চোখ
              ঝুলছে আঙুর বাঁগিচায় থোকায় থোকায়...


যান্ত্রিক কারখানা চলমান অথচ জন্মান্ধ
              উৎপাদিত দ্রব্যাদি শিকেয় তুলে রাখে
'কুকুর হতে সাবধান' কালো সাদায়
              কি জানে কি শেখায়?
শুন্য হাতের অবিমিশ্রিত আশ্রয়
              ভেসে ভেসে চলে সিন্দাবাদের সাম্পান
আনে ক্ষেদ, ক্ষুব্ধ রক্তকনিকায়
              চেরনোবিলের মাটিখেঁকো উত্তাপ
শিয়রে দেয়াল ঘড়িতে অপেক্ষারত
              অধৈর্য কাল সময়...


বাসের জানালায় ঝুলে থাকে কাটা হাত
সবুজ রক্ত ফোঁটা টুপ টুপ টুপ
              শিশিরের মত ঝরে
তবুও থেমে যায় না কিছুতে নিরীক্ষা অভিযান
খোঁজাখুঁজি শেষে ১টা উন্মুখ
             'আমায় ভুলো না' রুমাল কেবল মেলে
সূর্য ওঠে দেহের কোঠরে,
             ক'রে ছিদ্র অন্বেষণ
সফেদ আলোয় কিছু পতঙ্গ
             শুধু যায় আর আসে...


মরচে ধরা সরল লোহার রড
             হৃদপিন্ড এফোঁড় ওফোঁড় করে
প্রচন্ড ধাতব ধাক্কা খেয়ে
             পরবর্তী গণিত মেলানো যায় না সহজে
ঘুলূট পাকিয়ে যায়,
            কি হলো কেন যে এমন হয়!
১টা আদিম অতলস্পর্শী কূঁয়ো
             কেঁদে কেঁদে শুধু হয়রান
পাত্র হাতে জল তোলে মন ফকিরা,
             তুলে যায়, তুলে যায়
শাঁখের করাতে কেটে টসটসে মৌচাক
             ফিরে আসে, খালি হাতে ফিরে আসে
২ মাথাওয়ালা ও রোমশ কিছু উলঙ্গ উজবুক লোকেরা...


_________________________________
"সাইকাডেলিক ট্রিলজি"
৩৭ নং জলরঙ, ৩৭ নং আলোকচিত্র এবং ৩৭ নং এপিটাফ


যশোর
বাংলাদেশ