আমাদের ভাতের হাড়িগুলোর একই গড়ন,
মায়ের আটপৌরে শাড়িটার রঙ বাদামি
দিদিমার সাদা থান,
একই সোনালী ধান, ধূসর-সাদা চাল
গাভীর সাদা দুধ, সবুজ শাক-সবজি
উনুনের আগুনে ঝলসানোর পরে সেই একই গন্ধ;
শুধু ক্ষুধার কোন রঙ নেই, গন্ধ নেই
জাত-পাত-ধর্ম নেই,
আহারে নিবৃত্ত করা ভরা পেট
ক্ষুধার্ত মানুষের বিবর্ণ সুখ।
ধূর্ত মানুষেরা ক্ষুধার রাজ্য জয় করে
খুঁজে পেল এক স্বর্গীয় সুখের উদ্যান-
সেখানে নানা রঙের ঈশ্বরের বসবাস,
বর্ণচোরা মানুষ রঙের খেলায় মেতে ওঠে
যে যার ঈশ্বরের মতো।
আমাদের সোনালী ফসলের মাঠ,
মায়ের আটপৌরে শাড়ি, দিদিমার থান
রাখালের বাঁশি, পাখিদের কাকলি
পার্বণের উৎসব, শিশুদের বিকেল
উনুনের আগুনে ঝলসানো সাদা ভাত
ক্ষুধার্ত মানুষের হেঁসেল থেকে
বিবর্ণ সুখের উঠোন থেকে
কেউ কেউ কেড়ে নিতে চায়, ঈশ্বরের নামে
যার যার রঙিন ঠিকানায়।
---------------------------
২৪/০৪/২০২৫