বরষা এলো- বরষা চলে যাবে;
কদম-কামিনী কেয়া ফুটবে,
হংসমিথুন আদিম উন্মাদনায়
অথৈ জলেতে দৌড়ে বেড়াবে।
হংসছানা কেলিতে কেলিতে
বানের জল নেমে যাওয়ার
আগেই তো- বয়োবৃদ্ধ হবে।
ওগো সখী, আমার কী হবে?


আমার এই অপেক্ষার অষ্টপ্রহর
আর কত যুগ-যুগান্তে হারাবে।
দোলনচাঁপা, দোপাটি-জুই, চামেলি-বেলি
সৌরভ ছড়িয়ে নিঃশব্দে বুকের ভিতর
নব প্রজন্মের বীজ অঙ্কুরিত করবে।
কলমিদাম-কচুরিপানাও বর্ষা জলের
সঠিক হিস্যা বুঝে নিবে।
সখী তবে আমার কী হবে?

স্রোতস্বিনীর ভরাযৌবনে টলমল জলও
ঢেউয়ের তালে তালে জীবন ভোগ করবে।
শোল-বোয়াল-টাকিও নবজলের মৈথুনে
রোমাঞ্চিত হয়ে লম্ফে-ঝম্ফে
ঝাঁকে ঝাঁকে প্রজন্ম বাড়াবে।
গগণের ঘণ কালো দেয়া- সেও
অবিরল ধারায় বর্ষিত হয়ে
টিনের চালে নাচানাচি করবে।
সখী ওগো, আমার কী হবে?

আমার এই অপেক্ষার অষ্টপ্রহর
কেবলই কী যুগচক্রে মিলিয়ে যাবে?


৯ আগস্ট, ২০২০
শেরে বাংলা নগর,
আগারগাঁ, ঢাকা।